ব্যাচেলর ডিগ্রি কিভাবে পাবেন? বিস্তারিত জানুন

🎧 Listen in Audio
0:00

ব্যাচেলর ডিগ্রি কিভাবে পাবেন? subkuz.com-এ বিস্তারিত জানুন

আপনি প্রায়শই "ব্যাচেলর" শব্দটি শুনে থাকবেন, বিশেষ করে যদি আপনি সম্প্রতি দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হন। আপনি যদি একজন ছাত্র হন, তাহলে হয়তো কখনও না কখনও ভেবেছেন যে দ্বাদশ শ্রেণী শেষ করার পর কোন কোর্সটি করা উচিত, এবং কোন কোর্সের জন্য চাকরির ভালো সুযোগ থাকবে, সেই বিষয়ে পরামর্শ নিতে হবে। তখনই আপনি প্রায়শই স্নাতক কোর্স বা ডিগ্রি অর্জনের পরামর্শ শুনে থাকেন।

 

ব্যাচেলর কি?

"ব্যাচেলর" শব্দটি সেই ছাত্রের জন্য ব্যবহার করা হয় যে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার প্রথম ডিগ্রি লাভ করে। উদাহরণস্বরূপ, যে সকল ছাত্র ব্যাচেলর অফ আর্টস (বিএ), ব্যাচেলর অফ কমার্স (বিকম), ব্যাচেলর অফ সায়েন্স (বিএসসি) ইত্যাদি ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্স সম্পন্ন করে, তাদের ব্যাচেলর বলা হয়। এর কারণ হল, ৩-বছরের ডিগ্রি কোর্স শেষ করার পর, তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেই বিষয়ে তাদের প্রথম ডিগ্রি লাভ করে।

 

ব্যাচেলর এর ফুল ফর্ম:

"ব্যাচেলর" শব্দটির কোনো পূর্ণরূপ নেই। এটি একটি স্বতন্ত্র শব্দ। বাংলায় "স্নাতক" কে "স্নাতক" বলা হয়, যার অর্থ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ডিগ্রি সম্পূর্ণ করা।

 

স্নাতক কোর্সের প্রকার:

দ্বাদশ শ্রেণী শেষ করার পর, আমরা প্রথম যে কোর্সটি করি, সেটি আমাদের একটি ডিগ্রি প্রদান করে, যাকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি বা "স্নাতক" ডিগ্রি বলা হয়। কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:

ব্যাচেলর অফ আর্টস - BA

ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন - BBA

ব্যাচেলর অফ সায়েন্স - B.Sc

ব্যাচেলর অফ কমার্স - B.com

ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনস - BCA

ব্যাচেলর অফ ফাইন আর্টস - BFA

ব্যাচেলর অফ লজ - LLB

ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং - BE

ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি - B.Tech

ব্যাচেলর অফ মেডিসিন ব্যাচেলর অফ সার্জারি - MBBS

ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার - B.Arch

ব্যাচেলর শব্দের ইতিহাস:

ব্রিটিশ আমলে দ্বাদশ শতাব্দীতে, "ব্যাচেলর" শব্দটি মূলত তরুণ নাইটদের জন্য ব্যবহৃত হত, যাদের "নাইট ব্যাচেলর" বলা হত। পরবর্তীতে, ব্রিটিশ আমলে, "ব্যাচেলর" শব্দটি একাডেমিক ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা শুরু হয়।

 

ব্যাচেলর ডিগ্রি কিভাবে করবেন:

কোন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে, তা নির্ভর করে আপনি দ্বাদশ শ্রেণীতে কোন স্ট্রিম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং আপনার প্রাপ্ত নম্বর কত তার উপর। সাধারণত, সমস্ত স্নাতক ডিগ্রি তিন বছরের হয়, যা আপনি দ্বাদশ শ্রেণী শেষ করার পর নিতে পারেন। এই তিন বছরে, আপনি ছয়টি সেমিস্টারের মধ্যে দিয়ে যাবেন যেখানে আপনি ব্যবহারিক জ্ঞান সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিখবেন।

 

কলা স্নাতক (বি.এ.):

যদি আপনি দ্বাদশ শ্রেণীতে কলা নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে আপনি কলা স্নাতক ডিগ্রি (বি.এ.) অর্জন করতে পারেন, যেখানে আপনি রাজনীতি, ভূগোল এবং ইতিহাসের মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে শিখবেন, যদি এই ক্ষেত্রগুলিতে আপনার আগ্রহ থাকে।

 

ব্যাচেলর অফ কমার্স (বি.কম):

যদি আপনি দ্বাদশ শ্রেণীতে বাণিজ্য নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে আপনি ব্যাচেলর অফ কমার্স ডিগ্রি (বি.কম) অর্জন করতে পারেন, যা বাণিজ্য বিষয়গুলির গভীর জ্ঞান প্রদান করে।

 

ব্যাচেলর অফ সায়েন্স (বি.এসসি):

বিএসসি হল একটি ডিগ্রি প্রোগ্রাম যেখানে আপনি বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়ন করবেন, বিশেষ করে বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা এবং গণিতের উপর মনোযোগ দেওয়া হবে। যদি আপনি দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে এই ডিগ্রি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

 

স্নাতক ডিগ্রির সুবিধা:

স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের অনেক সুবিধা রয়েছে:

- এটি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করে।

- স্নাতক ডিগ্রি ধারক তার চাকরিতে উচ্চ বেতন অর্জন করতে পারে।

- স্নাতক ডিগ্রির সাথে, আপনি আপনার কর্মজীবনে উচ্চ পদের আকাঙ্ক্ষা করতে পারেন।

- স্নাতক ডিগ্রি থাকলে ব্যক্তিগত বিকাশ এবং উন্নতি হয়।

- এটি অন্যদের কাছ থেকে সম্মান লাভ করতে সাহায্য করে।

- স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কিংয়ের আরও সুযোগ তৈরি হয়।

- স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর একজন ব্যক্তি উন্নতির পথে আরও এগিয়ে যেতে পারে।নোট: উপরে দেওয়া তথ্য বিভিন্ন উৎস এবং কিছু ব্যক্তিগত পরামর্শের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশা করি এটি আপনার ক্যারিয়ারে সঠিক দিশা দেখাবে। এই ধরনের আরও নতুন তথ্যের জন্য দেশ-বিদেশ, শিক্ষা, চাকরি, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়তে থাকুন Sabkuz.com-এ।

```

Leave a comment