শ্রীশ্রী স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী: অনুপ্রেরণার উৎস

🎧 Listen in Audio
0:00

শ্রীশ্রী স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী: ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। এই দিনটি ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসেবেও পালিত হয়। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি একজন মহান সাধু, যোগী এবং চিন্তাবিদ ছিলেন, যিনি ভারতীয় সংস্কৃতি ও বেদান্তকে বিশ্বব্যাপী পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।

স্বামী বিবেকানন্দের জীবন আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি তাঁর জীবনে প্রমাণ করেছেন যে জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাস, পরিশ্রম এবং নিজের লক্ষ্যের প্রতি অবিচলিত নিবেদন প্রয়োজন। তিনি সর্বদা তরুণ প্রজন্মকে সক্ষম ও আত্মনির্ভর করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

স্বামী বিবেকানন্দ (১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩ - ৪ জুলাই, ১৯০২) ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার অন্যতম প্রতীক ছিলেন। তিনি বেদান্তের একজন মহান গুরু এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ভারতীয় সমাজকে জাগ্রত করেছে এবং তাঁর চিন্তাধারা আজও লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে বাস করে। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর জীবনযাত্রায় ভারতে এবং বিদেশে ভারতীয় সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের প্রচার করেছিলেন। তাঁর চিন্তা ও কর্ম আজও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিদ্যমান।

জন্ম এবং প্রাথমিক জীবন

স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতা (তৎকালীন কলকাতা) শহরের এক সমৃদ্ধ ও ধার্মিক কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর পিতা, বিশ্বনাথ দত্ত, একজন বিখ্যাত আইনজীবী ছিলেন, এবং তাঁর মাতা, ভুবনেশ্বরী দেবী, একজন ধার্মিক এবং যুক্তিসঙ্গত মহিলা ছিলেন। তাঁর পরিবারের ধর্মীয় পরিবেশ স্বামী বিবেকানন্দের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

কৈশোরেই বিবেকানন্দ তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা এবং শাস্ত্রে আগ্রহ প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি শৈশব থেকেই ঈশ্বর সম্পর্কে জানার জন্য উৎসুক ছিলেন এবং তাঁর বাড়িতে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় আলোচনায় অংশগ্রহণ করতেন। তাঁর শিক্ষায় বিভিন্ন বিষয় ছিল, যেমন বেদ, উপনিষদ, গণিত, বিজ্ঞান এবং সাহিত্য।

রামকৃষ্ণ পরমহংসের কাছ থেকে গুরুলাভ

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনে একটি মোড় এসেছিল যখন তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের সাথে দেখা করেন। রামকৃষ্ণ তাকে বলেছিলেন যে প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের অংশ বিদ্যমান এবং সেবা করার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারি। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণের নীতিগুলিকে তাঁর জীবনের নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সাথে সময় কাটানোর মাধ্যমে গভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।

``` (The remaining content of the article should be rewritten in the same manner and format, ensuring a smooth transition and maintaining a professional and fluent tone.)

Leave a comment