চৈত্র নবরাত্রি ২০২৫: রসুন-পেঁয়াজ নিষিদ্ধের আধ্যাত্মিক ও পৌরাণিক কারণ

🎧 Listen in Audio
0:00

২০২৫ সালের চৈত্র নবরাত্রির শুরু ৩০শে মার্চ এবং এটি ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এই নয় দিন ধরে ভক্তরা মা দুর্গার পূজা-অর্চনা করেন এবং ব্রত পালন করেন। ব্রতের সময় সাৎত্বিক আহার গ্রহণের প্রথা রয়েছে, যেখানে রসুন-পেঁয়াজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু কি আপনি জানেন এর পিছনে আধ্যাত্মিক ও পৌরাণিক উভয় কারণই রয়েছে? আসুন জেনে নেই নবরাত্রিতে রসুন-পেঁয়াজ কেন খাওয়া হয় না।

তাঁমসিক আহার থেকে বিরত থাকার প্রথা

হিন্দু ধর্মে রসুন এবং পেঁয়াজকে তাঁমসিক আহারের শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। তাঁমসিক আহার ক্রোধ, কামনা, অহংকার এবং বিভ্রান্তির প্রবণতা বৃদ্ধি করে, যা সাধনা ও ভক্তিমার্গে বাধা হিসেবে বিবেচিত। নবরাত্রির সময় ব্যক্তিকে সংযম এবং পবিত্র আচরণ পালন করা উচিত, তাই এই খাদ্যসামগ্রীর পরিত্যাগ করা হয়।

পৌরাণিক কাহিনীর সাথে জড়িত রসুন-পেঁয়াজ

একটি বিশ্বাস অনুযায়ী, ক্ষীরসাগর মন্থনের সময় যখন অমৃত বেরিয়েছিল, তখন অসুর স্বর্ভানু ছল করে অমৃত পান করেছিল। ভগবান বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে তার মাথা কেটে ফেলেছিলেন। মনে করা হয় যেখানে যেখানে তার রক্তের বিন্দু পড়েছিল, সেখান থেকেই রসুন এবং পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়েছিল। এই কারণে এগুলিকে রাক্ষসী আহারও বলা হয় এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এগুলোর সেবন নিষিদ্ধ।

ব্রতের সময় কি খাওয়া যায়?

নবরাত্রি ব্রতের সময় ভক্তরা সাৎত্বিক আহার গ্রহণ করেন, যার মধ্যে ফল, দুধ, মখানা, কুট্টু আটা, সিঙ্গাড়া আটা এবং সমা চাল অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও সেন্ধা লবণ ব্যবহার করা হয়।

চৈত্র নবরাত্রি ২০২৫: ঘট স্থাপনার মুহূর্ত

এই বছর চৈত্র নবরাত্রির শুরু ৩০শে মার্চ। ঘট স্থাপনার শুভ মুহূর্ত নিম্নরূপ:
প্রথম মুহূর্ত: সকাল ৬:১৩ থেকে ১০:২২ পর্যন্ত
অভিজিত মুহূর্ত: দুপুর ১২:০১ থেকে ১২:৫০ পর্যন্ত

নবরাত্রির সময় রসুন এবং পেঁয়াজের সেবন নিষিদ্ধ কারণ এগুলি তাঁমসিক প্রবণতা বৃদ্ধি করে এবং সাধনায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, ব্রতের সময় সাৎত্বিক আহার গ্রহণের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি হয়। তাই ভক্তরা এই নয় দিন ধরে পূর্ণ শ্রদ্ধা সহকারে মা দুর্গার আরাধনা করেন এবং নিয়ম পালন করেন।

Leave a comment