হিন্দু ধর্মে চৈত্র নবরাত্রির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নয় দিনব্যাপী এই উৎসব ভক্তদের জন্য শক্তি, ভক্তি ও সাধনার এক অনন্য সমাহার। এই সময় মাতা দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয় এবং ভক্তরা উপবাস রেখে মাতার আশীর্বাদ লাভ করেন। এই বার চৈত্র নবরাত্রি শুরু হবে ৩০শে মার্চ ২০২৫, রবিবার এবং শেষ হবে ৬ঠা এপ্রিল ২০২৫, রবিবার। কিন্তু এবারের নবরাত্রি কিছুটা বিশেষ, কারণ দেবী দুর্গা তাঁর বিশেষ বাহনে আরোহণ করে আসছেন, যা অত্যন্ত শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কবে থেকে শুরু হবে চৈত্র নবরাত্রি?
চৈত্র নবরাত্রির শুরু ৩০শে মার্চ ২০২৫, রবিবার এবং সমাপ্তি ৬ঠা এপ্রিল ২০২৫, রবিবার। বিশেষত, এবার অষ্টমী ও নবমী একই দিনে পড়ছে, যার ফলে নবরাত্রি ৮ দিনের হবে।
কোন বাহনে আসবেন মাতা রাণী?
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি বছর দেবী দুর্গা বিভিন্ন বাহনে আরোহণ করে পৃথিবীতে আগমন করেন, যা থেকে ভবিষ্যতের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এবার মাতা রাণী হাতীতে আরোহণ করে আসছেন, যা অত্যন্ত শুভ ও মঙ্গলকর বলে মনে করা হয়।
হাতীতে আগমনের গুরুত্ব
সমৃদ্ধি ও শান্তির ইঙ্গিত – দেবী দুর্গা যখন হাতীতে আরোহণ করে আসেন, তখন তা দেশ, সমাজ ও পরিবারের জন্য সুখ-সমৃদ্ধির ইঙ্গিত বলে মনে করা হয়।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শুভ – হাতীকে শক্তি, জ্ঞান ও স্থিরতার প্রতীক বলে মনে করা হয়, যা ইঙ্গিত দেয় যে এ বছর ভক্তদের জীবনে ইতিবাচকতা বজায় থাকবে।
চৈত্র নবরাত্রি ২০২৫: কলস স্থাপনার মুহূর্ত
নবরাত্রির শুরু হয় কলস স্থাপনের সাথে, যা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যদি সঠিক মুহূর্তে কলস স্থাপন করা হয়, তাহলে তার প্রভাব অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।
কলস স্থাপনের প্রথম শুভ মুহূর্ত – ৩০শে মার্চ ২০২৫, সকাল ৬:১৩ টা থেকে ১০:২২ টা পর্যন্ত
অভিজিত মুহূর্ত – ৩০শে মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২:০১ টা থেকে ১২:৫০ টা পর্যন্ত
কিভাবে কলস স্থাপন করবেন?
স্নান করে পবিত্র স্থানে হলুদ বা লাল বস্ত্র বিছান।
মাটির কলসে গঙ্গাজল, সুপারি, সিক্কা এবং অক্ষত রাখুন।
কলসের উপর নারকেল রাখুন এবং আমপাতায় সাজান।
নবরাত্রিতে পূজা পদ্ধতি ও লাভ
নবরাত্রির সময় মাতা দুর্গার বিভিন্ন রূপের পূজা করা হয়। প্রতিটি দিনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এবং মাতার প্রতিটি রূপের আরাধনা থেকে আলাদা আলাদা ফল পাওয়া যায়।
নবরাত্রির সময় ব্রত ও পূজা করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
মাতা দুর্গার কৃপায় সকল মনোকামনা পূর্ণ হয়।
নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচকতা বজায় থাকে।
