ইরাক ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ অভিযানে আইএসআইএস-এর উপ-খলিফা আব্দুল্লাহ মাকি মোসলেহ আল-রিফাই নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানি এটিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় জয় বলে উল্লেখ করেছেন।
আবু খাদিজা: ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি শুক্রবার ঘোষণা করেছেন যে, ইসলামিক স্টেটের একজন শীর্ষ নেতা আব্দুল্লাহ মাকি মোসলেহ আল-রিফাই নিহত হয়েছেন। আল-রিফাইকে ‘আবু খাদিজা’ নামেও পরিচিত ছিলেন। ইরাকি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ অভিযানে এই অভিযানটি সম্পন্ন হয়েছে।
কীভাবে নিহত হলেন আবু খাদিজা?
ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিমী প্রদেশ অনবর-এ এই অভিযানটি চালানো হয়, যেখানে আল-রিফাইকে লক্ষ্য করে আকাশ থেকে হামলা চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান শুরু হয় এবং শুক্রবার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আল-রিফাই দীর্ঘদিন ধরে ইরাক ও বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নিশ্চিত করেছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ এই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আইএসআইএস-এর পলাতক উগ্রপন্থীকে আজ ইরাকে নিহত করা হয়েছে। আমাদের সাহসী যোদ্ধারা ইরাক সরকার ও কুর্দি অঞ্চলীয় সরকারের সহযোগিতায় তাকে খুঁজে বের করে নিহত করেছে।"
আইএসআইএস-এর উপর ক্রমবর্ধমান চাপ
২০১৯ সালে যখন ইসলামিক স্টেটের প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদিকে মার্কিন সেনা নিহত করে, সেই থেকেই এই সংগঠনটি ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাগদাদির মৃত্যুর পর সংগঠনের অনেক শীর্ষ নেতাকে নিহত করা হয়েছে। তবে, মাঝে মাঝে আইএসআইএস এখনও সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে।
ইরাকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় জয়
প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানি বলেছেন, "ইরাকের জনগণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের জয় অব্যাহত রেখেছে। আবু খাদিজার নিহত হওয়া সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি বড় সাফল্য।" ইরাকি নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এখনও আইএসআইএস-এর অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।