শনির সাড়েসাতি ও ঢাইয়া থেকে মুক্তি পেতে গুরু পূর্ণিমায় করুন এই উপায়

শনির সাড়েসাতি ও ঢাইয়া দ্বারা পীড়িত এই রাশিগুলির জাতক-জাতিকারা গুরু পূর্ণিমার দিনে অবশ্যই করুন এই উপায়, সমস্যার হবে সমাধান     People of these zodiac signs suffering from Shani's Sade Sati and Dhaiya must do this remedy on the day of Guru Purnima, the problem will be solved

পুনঃপ্রকাশিত উপাদান:

আষাঢ় মাসের পূর্ণিমাকে গুরু পূর্ণিমা বলা হয়। মনে করা হয় এই দিনেই মহর্ষি বেদব্যাসের জন্ম হয়েছিল। গুরু বেদব্যাসই প্রথম মানবজাতিকে চারটি বেদের জ্ঞান দিয়েছিলেন, তাই তাঁকে প্রথম গুরু হিসেবে সম্মান জানানো হয় এবং তাঁর জন্মদিন গুরু পূর্ণিমা বা ব্যাস পূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। জ্যোতিষীদের মতে, এই বছর গুরু পূর্ণিমায় শনিদেবের পূজার বিশেষ যোগ তৈরি হয়েছে। তাই, শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়ার কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য, এটি তাঁদের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি বিশেষ সুযোগ। গুরু পূর্ণিমায় এই ধরনের ব্যক্তিরা তাঁদের সমস্যা কমাতে শনিদেবের সঙ্গে যুক্ত বিশেষ কিছু উপায় করতে পারেন।

সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:

যখন শনিদেব অসন্তুষ্ট হন, তখন জীবন প্রায়শই সমস্যায় ভরে যায়। তাই শনির অশুভ দৃষ্টির কুপ্রভাব থেকে বাঁচতে কিছু উপায় জানা জরুরি। জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন কিছু সহজ উপায় বলা হয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি শনির নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন।

1. শনিদেবের শুধুমাত্র চোখ দেখা যায় এমন কোনো মূর্তি দেখা থেকে বিরত থাকুন।

2. প্রতি শনিবার লাল বস্ত্র পরিধান করে হনুমানজির সামনে হনুমান চালিসা পাঠ করুন।

3. সন্ধ্যায় পশ্চিম দিকে মুখ করে প্রদীপ জ্বালান এবং শনিদেবের মন্ত্র জপ করুন।

4. পরিবারের সদস্য এবং সহকারীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন।

5. নীল রঙের বেশি ব্যবহার করুন।

6. শনিবার কালো কুকুরকে সর্ষের তেলে ভেজানো রুটি খাওয়ান। যদি কালো কুকুর না পাওয়া যায়, তবে অন্য কোনো কুকুর হলেও চলবে।

7. জলে কালো তিল মিশিয়ে ভগবান শিবের জলাভিষেক করুন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, শনিদেব সেই সকল ব্যক্তিদের সম্মান করেন যারা ভগবান শিবের পূজা করেন এবং তাঁদের কষ্ট থেকে রক্ষা করেন।

8. পিপল গাছের নিচে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। এছাড়াও, কাছের কোনো শনি মন্দিরে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন।

9. অভাবী মানুষদের সর্ষের তেল, কালো তিল, লোহা, কালো ডাল এবং কালো কাপড় দান করুন।

10. হনুমানজির আরাধনা করুন। এমনটা বলা হয় যে, যারা হনুমানজির পূজা করেন, শনিদেব তাঁদের বিরক্ত করেন না। এই দিনে হনুমানজির সামনে প্রদীপ জ্বালান এবং হনুমান চালিসা পাঠ করুন।

11. 'ওম শং শনৈশ্চরায় নমঃ' মন্ত্র জপ করতে করতে পিপল গাছের সাতবার পরিক্রমা করুন। এই অভ্যাস শুধু গুরু পূর্ণিমায় নয়, শনিবারও করা উচিত।

নোট- এখানে দেওয়া তথ্য ধর্মীয় বিশ্বাস এবং লোককথার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে, এটি সাধারণ মানুষের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে।