২০ জুন দিল্লি-এনসিআরে বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের মাঝে তাপমাত্রা নেমে এসেছে। উত্তরপ্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার ও রাজস্থানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া আপডেট ২০ জুন, ২০২৫: দেশের অনেক অংশে মৌসুমি বৃষ্টি সক্রিয় হয়ে গেছে এবং এর প্রভাব এখন দিল্লি-এনসিআর সহ উত্তর ভারতের বড় অংশে দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টির পরে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে এবং তাপমাত্রায় হ্রাস পেয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর কিছু রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। এই প্রতিবেদনে জানুন ২০ জুন ২০২৫-এ ভারতের প্রধান শহর ও রাজ্যগুলির আবহাওয়া কেমন থাকবে।
দিল্লি-এনসিআরে মেঘের আনাগোনা
গতকালের বৃষ্টির পর আজ শুক্রবারও দিল্লি-এনসিআরে মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর আজকের জন্য ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে। এর অধীনে কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি, প্রবল বাতাস এবং বজ্রপাতের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, দিল্লির বাতাসের গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। এই সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লিবাসীদের জন্য স্বস্তির খবর হল, এখন লু বাতাসের মতো পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। আর্দ্রতার কারণে কিছুটা উমস ভাব অনুভূত হতে পারে, তবে প্রবল বাতাস আবহাওয়াকে মনোরম রাখবে। আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্জাব ও হরিয়ানায় তাপমাত্রা হ্রাস
দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানা ও পঞ্জাবে বৃষ্টি আবহাওয়ার পরিবর্তন এনেছে। বৃহস্পতিবার এই রাজ্যগুলির বেশিরভাগ অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম রেকর্ড করা হয়েছে। চণ্ডীগড় এবং এর আশেপাশের এলাকায় মেঘলা আকাশ ছিল এবং হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আগামী দিনগুলিতে আবহাওয়া আরও অনুকূল হতে পারে। পঞ্জাব ও হরিয়ানার জন্যও আবহাওয়া দপ্তর ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে, যার ফলে কৃষক ও যাত্রীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টির আগমন
উত্তরপ্রদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বৃষ্টির আগমন স্বাভাবিক সময়ের প্রায় পাঁচ দিন দেরিতে বুধবার হয়েছে। রাজ্যের পূর্বের জেলা যেমন সোনভদ্র, বালিয়া, মউ এবং গাজীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে মৌসুমি বৃষ্টি পুরো রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। ৩০ জুনের মধ্যে পুরো উত্তরপ্রদেশ মৌসুমি বৃষ্টির আওতায় চলে আসবে।
মৌসুমি বৃষ্টির আগমনের পর রাজ্যে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। লখনউ, বারাণসী, গোরখপুর এবং প্রয়াগরাজের মতো শহরগুলিতে আগামী দিনগুলিতে ভালো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সাথে সাথে বজ্রপাত এবং ঝড়ের সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে। মানুষকে খোলা জায়গায় না যাওয়ার এবং সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিহার ও ঝাড়খণ্ডে সতর্কতা জারি
বিহারে মৌসুমি বৃষ্টি পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে গেছে এবং রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে বৃষ্টি হচ্ছে। পাটনা আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের মতে, আগামী ছয় দিন রাজ্যে ঝড়, বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর ১৮টি জেলার জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট এবং ২০টি জেলার জন্য ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে।
ঝাড়খণ্ডের কথা বললে, মঙ্গলবার রাজ্যে মৌসুমি বৃষ্টির আগমন হয়েছিল এবং এখন এটি পুরো রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। রাঁচি আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের উপ-পরিচালক অভিষেক আনন্দ জানিয়েছেন যে ২০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাঁচি, জামশেদপুর, ধানবাদ, বোকারো এবং গিরিডিহের মতো এলাকায় বৃষ্টির প্রভাব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
রাজস্থানে সময়ের আগে মৌসুমি বৃষ্টি
রাজস্থানে এবার মৌসুমি বৃষ্টি স্বাভাবিক সময়ের প্রায় এক সপ্তাহ আগে আগমন করেছে। বুধবার রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে ভাল বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর রাজ্যের কোটা এবং উদয়পুর বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে। इसके अलावा जयपुर, अजमेर और भरतपुर संभाग में भी कुछ स्थानों पर भारी बारिश हो सकती है।
রাজস্থানের মতো শুষ্ক অঞ্চলে মৌসুমি বৃষ্টির দ্রুত আগমন কৃষক ও সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা এবং স্থানীয় বন্যার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে, যার জন্য জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ভারতের শহরগুলিতে গরম অব্যাহত
দক্ষিণ ভারতের প্রধান শহর যেমন চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরুতে এখনও গরমের প্রভাব রয়েছে। চেন্নাইয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে, যখন হায়দ্রাবাদে এটি ৩৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, এই শহরগুলিতে এখনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে হতে পারে।
মুম্বই ও কলকাতায় মাঝেমধ্যে বৃষ্টি অব্যাহত
মুম্বইতে মৌসুমি বৃষ্টি ইতোমধ্যেই সক্রিয় হয়ে গেছে এবং শহরে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রায় হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে উমসেও কমেছে। অন্যদিকে কলকাতাতেও মৌসুমি বৃষ্টির প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এখানেও মেঘলা আকাশের সাথে হালকা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আগামী দিনগুলিতে বঙ্গোপসাগরে সিস্টেম তৈরি হওয়ার কারণে বৃষ্টির তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে।