আমেরিকায় টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। ৫ এপ্রিলের সময়সীমা কাছে আসার সাথে সাথে আলোচনা তীব্র হয়েছে যে, টিকটক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হবে কিংবা ট্রাম্প প্রশাসন এ ব্যাপারে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এই বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, যার ফলে একটু আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
টিকটক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন বক্তব্য
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি বড় বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে টিকটক নিয়ে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর আগ্রহ অব্যাহত আছে। তিনি বলেছেন, “আমাদের কাছে অনেক ক্রেতা আছে, যারা টিকটক কিনতে আগ্রহী এবং আমি চাই এই প্লাটফর্মটি চালু থাকুক।” ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর এখন অনুমান করা হচ্ছে যে, টিকটককে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা করার কোন উপায় বের করা যাবে কি না।
৫ এপ্রিলের মধ্যে টিকটক বিক্রি হবে নাকি নিষিদ্ধ হবে?
জানুয়ারী ২০২৪ সালে আমেরিকান প্রশাসন একটি আইন কার্যকর করেছিল, যার অধীনে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স (ByteDance)-কে ৫ এপ্রিলের মধ্যে টিকটকের আমেরিকান ব্যবসা কোন স্থানীয় কোম্পানিকে বিক্রি করার সময় দেওয়া হয়েছিল। যদি এই সময়সীমার মধ্যে বিক্রি না হয়, তাহলে জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতে আমেরিকায় এটিকে নিষিদ্ধ করা হবে।
আমেরিকায় প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারী টিকটক ব্যবহার করে এবং এটি সেখানকার যুবকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ট্রাম্প আগেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, যদি সময়মত কোন চুক্তি না হয়, তাহলে ৯০ দিন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে।
৫ এপ্রিলের পর টিকটক সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হবে কি?
যদি ৫ এপ্রিলের মধ্যে বাইটড্যান্স তাদের আমেরিকান ব্যবসা বিক্রি না করে, তাহলে বিদ্যমান ফেডারেল আইন অনুযায়ী টিকটক নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন যে, যদি কোন সমঝোতা না হয়, তাহলে ৭৫ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে। ট্রাম্প আগেও বলেছিলেন, “আগে আমি টিকটক সম্পর্কে বেশি ভাবতাম না, কিন্তু যখন আমি এটি ব্যবহার করেছি এবং যুবকদের সমর্থন দেখেছি, তখন আমার এটি কিছুটা পছন্দ হয়েছে।” এখন দেখার বিষয় হলো টিকটক আমেরিকান বাজারে টিকে থাকবে নাকি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হবে।
টিকটক কি বাঁচতে পারবে?
ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির পরও, এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে টিকটক কোন আমেরিকান কোম্পানি কিনতে পারে এবং এভাবে এর নিষেধাজ্ঞা এড়ানো যেতে পারে। কিন্তু যদি ৫ এপ্রিলের মধ্যে কোন চুক্তি না হয়, তাহলে এটিকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। তবে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে তিনি চান টিকটক বাজারে টিকে থাকুক। এখন দেখার বিষয় হলো কোন আমেরিকান কোম্পানি টিকটক কিনতে এগিয়ে আসবে কি না।