পাক-ভারত উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতি: চিদম্বরমের মোদীর যুদ্ধ নীতির প্রশংসা

পাক-ভারত উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতি: চিদম্বরমের মোদীর যুদ্ধ নীতির প্রশংসা
সর্বশেষ আপডেট: 11-05-2025

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পর শনিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, এবং উভয় দেশের সীমান্তে শান্তি বিরাজ করছে। এদিকে, পি. চিদম্বরম তার কলামে প্রধানমন্ত্রী মোদীর যুদ্ধ নীতির প্রশংসা করেছেন।

অপারেশন সিন্দুর: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বেড়ে ওঠা উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার অবশেষে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। এই পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে শান্তির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এই সময়, কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি. চিদম্বরমের একটি কলাম, যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত হয়েছিল, শিরোনামে আসে। এই কলামে, চিদম্বরম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যুদ্ধ নীতির প্রশংসা করেছেন। তিনি বিশেষ করে অপারেশন সিন্দুরের প্রেক্ষাপটে মোদীর কৌশলকে বুদ্ধিমানের এবং সুষম বলে বর্ণনা করেছেন।

চিদম্বরমের মোদীর যুদ্ধ নীতি বিশ্লেষণ

চিদম্বরম তার কলামে বলেছেন, ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, ভারতে প্রতিশোধের আওয়াজ উঠেছিল। তবে, সরকার সম্পূর্ণ যুদ্ধের পথে যাওয়ার পরিবর্তে সীমিত সামরিক অভিযানের পথ বেছে নিয়েছে। চিদম্বরম এটিকে একটি "বুদ্ধিমানের এবং সুষম" পদক্ষেপ বলেছেন, যার ফলে সম্ভাব্য একটি বৃহৎ যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

সেনাবাহিনীর সীমিত এবং পরিকল্পিত পদক্ষেপ

চিদম্বরমের মতে, ভারতের সামরিক অভিযান অত্যন্ত পরিকল্পিত ছিল, এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) এ অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা। এই অভিযান কোনো বৃহৎ সংঘাতের দিকে না গিয়ে, আঞ্চলিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী স্থায়িত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

তিনি এই পদক্ষেপটিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর "বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ" নীতি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যা কেবল ভারতের সুরক্ষা স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করে না, বরং বিশ্বব্যাপী স্থায়িত্বকেও বিবেচনা করে। চিদম্বরম বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই পদক্ষেপ ভারতের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী নীতির অংশ, যা যে কোনও ধরণের যুদ্ধের পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যের উল্লেখ

চিদম্বরম প্রধানমন্ত্রী মোদীর ২০২২ সালে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে হওয়া আলোচনার কথাও উল্লেখ করেছেন, যখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "এটি যুদ্ধের যুগ নয়।" চিদম্বরম বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই কথা আজও সারা বিশ্বে স্মরণীয়। এজন্যই অনেক দেশ ভারতকে ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছে।

এই কথাগুলি কেবল ভারতীয় কূটনীতির দিক নির্দেশ করে না, বরং বিশ্ব সমাজে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবও প্রতিফলিত করে। চিদম্বরম এটাও বলেছেন যে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন দেশ, এবং তাই কোন বৃহৎ যুদ্ধ কেবল আঞ্চলিক নয়, বরং বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন

চিদম্বরম বলেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-গাজা যুদ্ধের মতো সংঘর্ষগুলি প্রমাণ করেছে যে আজকের বিশ্বে যুদ্ধকে সহ্য করা যায় না। তাঁর মতে, এখন সময় এসেছে যে সকল দেশকে শান্তি ও স্থায়িত্বের দিকে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, এবং ভারত এই কাজটি চমৎকারভাবে করেছে।

Leave a comment