মোদী বিশাখাপত্তনমে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন

মোদী বিশাখাপত্তনমে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন
সর্বশেষ আপডেট: 21-06-2025

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১শে জুন বিশাখাপত্তনমে ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ব্যাপক উৎসাহের সাথে পালন করেছেন, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর সাথে যোগাভ্যাসে অংশগ্রহণ করেছেন। এই বিশেষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বকে ঐক্য ও স্বাস্থ্যের বার্তা দিয়ে বলেন যে, যোগ সবার এবং সবার জন্য।

নয়াদিল্লি: প্রতি বছর ২১শে জুন পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস এবার আরও বর্ণাঢ্য আকারে উপস্থিত হয়েছে। ২০২৫ সালের ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ভারতের জন্য বিশেষ হয়ে উঠেছে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশাখাপত্তনমের সমুদ্র সৈকতে হাজার হাজার মানুষের সাথে যোগ করে বিশ্বকে ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য’র বার্তা দিয়েছেন। যোগের এই উৎসব কেবল ভারত নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্য ঐক্য ও সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছে।

বিশাখাপত্তনম বিশ্ব যোগ কেন্দ্রে পরিণত

সমুদ্রের ঢেউয়ের কিনারে অবস্থিত বিশাখাপত্তনমে এ বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রধান আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এখানে উপস্থিত হাজার হাজার যোগ প্রেমীর সাথে যোগাভ্যাস করেছেন। কার্যক্রমের শুরু হয়েছে সকালে সূর্য নমস্কার ও ওঁম ধ্বনির সাথে, যা সমগ্র পরিবেশকে আধ্যাত্মিক শক্তি দিয়ে পূর্ণ করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, যোগের অর্থই হলো – সংযোগ, এবং আজ পুরো বিশ্ব যোগের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত হয়েছে। যোগ সীমাবদ্ধ নয়, এটি সবার এবং সবার জন্য।

তিনি বলেছেন যে, বিগত ১১ বছরে যোগ একটি জন আন্দোলনের রূপ নিয়েছে এবং এটি ভারতের সাংস্কৃতিক বার্তা বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী যোগের রঙ

প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, আজ সিডনি অপেরা হাউসের সিঁড়ি থেকে শুরু করে এভারেস্টের চূড়া পর্যন্ত এবং অ্যান্টার্কটিকার বরফের মাঠ থেকে শুরু করে আফ্রিকার মরুভূমি পর্যন্ত – সর্বত্র যোগের বার্তা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এটি ভারতের নয়, বরং সমগ্র মানবতার বিজয়। তিনি জাতিসংঘে ২১শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ঘোষণা করার ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া স্মরণ করে বলেন, “১৭৫ টিরও বেশি দেশ ভারতের এই প্রস্তাবের সমর্থন করেছিল। এই বিশ্বব্যাপী সমর্থন কেবল একটি তারিখকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ছিল না, বরং এটি মানবতার কল্যাণের জন্য ঐক্যের প্রতীক ছিল।”

চন্দ্রাবাবু নায়ডু এবং পাওয়ান কল্যাণও উপস্থিত ছিলেন

যোগ দিবসের এই ঐতিহাসিক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে আন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রাবাবু নায়ডু এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পাওয়ান কল্যাণও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। উভয় নেতাই যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন যে, এটি কেবল শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, বরং মানসিক শান্তিরও মাধ্যম। পাওয়ান কল্যাণ যোগকে ডিজিটাল চাপের যুগে যুবকদের জন্য সমাধান বলে উল্লেখ করেছেন, অন্যদিকে নায়ডু বলেছেন যে, আন্ধ্রপ্রদেশ যোগকে স্কুল শিক্ষার অংশ করার দিকে কাজ করছে।

‘যোগ সংগম’ দেশব্যাপী জনআন্দোলনে পরিণত

এ বছরের থিম ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য’র আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার ‘যোগ সংগম’ অভিযান শুরু করেছে, যেখানে দেশব্যাপী ১ লক্ষেরও বেশি স্থানে सामूहিক যোগাভ্যাস করা হয়েছে। প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনী, সাধারণ নাগরিক এবং যোগ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত প্রশিক্ষক। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল যোগকে জন-জনের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জীবনযাত্রাকে উৎসাহিত করা।

Leave a comment