রাজনাথ সিং: যোগের মাধ্যমে দেশের ঐক্য ও সুরক্ষার বার্তা

🎧 Listen in Audio
0:00

রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে উধমপুরে সেনা জওয়ানদের সাথে যোগাসন করেছেন এবং সেই সময় দেশের সুরক্ষা, ঐক্য এবং সৈনিকদের ভূমিকা নিয়ে আবেগঘন চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিয়েছেন।

নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ভারতের রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক আবেগঘন ও দূরদর্শী বার্তা দিয়েছেন। তিনি কেবল শারীরিক যোগের কথা বলেননি, বরং “চিন্তা ও সমাজের পর্যায়ে যোগ” এর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। উধমপুরে সৈন্যদের সাথে যোগাসন করার সময় তিনি অপারেশন সিন্দুরের উল্লেখ করে পাকিস্তানকে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছেন এবং পাশাপাশি ভারতের সামাজিক ঐক্যকে আতঙ্কবাদের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ বলে উল্লেখ করেছেন।

অপারেশন সিন্দুরের বার্তা: আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে নির্ণায়ক প্রতিক্রিয়া

রাজনাথ সিং বলেছেন যে অপারেশন সিন্দুর কেবলমাত্র একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার উত্তর। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই অপারেশন ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ২০১৯ সালের এয়ার স্ট্রাইকেরই পরবর্তী ধাপ, যার উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র আতঙ্কবাদী হামলার জবাব দেওয়া নয়, বরং পাকিস্তানকে বোঝানোও যে ভারত এখন কোনো মূল্যেই চুপ করে বসে থাকবে না।

তিনি বলেছেন, পাকিস্তান কেবলমাত্র একটি আতঙ্কবাদী ঘটনা ঘটিয়েছে তাই নয়, বরং ভারতের সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যকেও লক্ষ্য করেছে। অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে আমরা তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি যে এখন ভারতকে আঘাত করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে।

বীরদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

নিজের বক্তৃতায় রক্ষামন্ত্রী মেজর সোমনাথ শর্মা এবং ব্রিগেডিয়ার উসমানের মতো ভারতের বীর সূর্যদের স্মরণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে পাকিস্তান বারবার ভারতকে ভেতর থেকে ভাঙার চেষ্টা করে, কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে যে ভারতের আত্মাকে কেউ নাড়াতে পারবে না। নওশেহরা ভূমি যেখানে ব্রিগেডিয়ার উসমান সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছিলেন, আজও আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভারতের ঐক্য কোনও একটা সম্প্রদায় বা জাতির দান নয়, বরং এই দেশের জন্য মিশে যাওয়া প্রত্যেক বীরের দান।

রাজনাথ সিং যোগের ব্যাপক অর্থ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, যোগের অর্থ শুধু শারীরিক নমনীয়তা নয়, এর প্রকৃত অর্থ হল - যোগ করা। সমাজের প্রতিটি শ্রেণীকে ভারতের সংস্কৃতি ও চেতনার সাথে যুক্ত করাটাই প্রকৃত যোগ। যদি একটাও শ্রেণী পিছিয়ে পড়ে, তাহলে আমাদের ঐক্যের চক্র ভেঙে যেতে পারে। তিনি বলেছেন যে আজকের দিনে শুধুমাত্র শারীরিক অনুশীলন নয়, বরং আমাদের চিন্তাভাবনায় একাত্মতা এবং সমাজে সম্প্রীতি আনার চেষ্টা করা উচিত। এটাই প্রকৃত যোগ, যা ভারতকে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী করে তোলে না, বরং বিশ্বব্যাপী মঞ্চেও তার পরিচয়কে উন্নত করে।

সৈনিকদের যোগাসনের প্রশংসা

রাজনাথ সিং সেনাবাহিনীতে যোগের বর্ধমান প্রবণতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি নিজেও বহুবার সেনাবাহিনীর সাথে সময় কাটানোর সৌভাগ্য পেয়েছেন এবং তিনি দেখেছেন যে কীভাবে জওয়ানরা যোগকে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তুলেছেন। যোগ সৈনিকদের মানসিকভাবে স্থির এবং শারীরিকভাবে নমনীয় করে তোলে। যুদ্ধের মতো চাপের পরিস্থিতিতেও এটি শৃঙ্খলা এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রাখতে সাহায্য করে। আজ সেনাবাহিনীর মধ্যে যোগের এই প্রসার আমাদের কৌশলগত শক্তিকে আরও জোরদার করে।

```

Leave a comment