ঢাকা-এনসিআর-এর রাস্তায় শীঘ্রই পেট্রোল ও ডিজেলচালিত যানবাহন আর দেখা যাবে না। দূষণের ভয়াবহ সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার একটি নতুন নীতি নিয়ে কাজ করছে, যার অধীনে ব্যাটারিচালিত (EV), হাইব্রিড ও CNG যানবাহনকে উৎসাহিত করা হবে।
Diesel Petrol Vehicle Ban: ঢাকা-এনসিআর-এ বর্ধমান দূষণ কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই পরিকল্পনার অধীনে পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়ি ধীরে ধীরে সরিয়ে ব্যাটারিচালিত ইলেক্ট্রিক ভেহিকল (EV), হাইব্রিড অথবা CNG যানবাহনকে উৎসাহিত করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা হলো, নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শুধুমাত্র EV, CNG অথবা হাইব্রিড পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি পুরোনো পেট্রোল-ডিজেল যানবাহন ধাপে ধাপে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
সরকারের পরিকল্পনা কী?
সরকারের লক্ষ্য হলো ২০২৫-এর পর ঢাকায় শুধু পরিষ্কত জ্বালানিচালিত বাসই রেজিস্ট্রেশন করা হবে। তিন চাকার এবং হালকা মালবাহী যানবাহনের জন্য সময়সীমা ২০২৬ থেকে ২০২৭ নির্ধারণ করা হতে পারে। ট্যাক্সির জন্য কিছুটা বেশি সময় দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও দুই চাকার যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ২০৩০ থেকে ২০৩৫-এর মধ্যে পরিষ্কত জ্বালানি (EV/CNG/ফ্লেক্সি-ফুয়েল/ব্লেন্ডেড ফুয়েল ইত্যাদি) ভিত্তিক হবে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে ঢাকায় নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। এরপর গুরগাঁও, গৌতম বুদ্ধ নগর ও গাজিয়াবাদ-এর মতো বেশি যানবাহন সমৃদ্ধ এলাকায় এবং পরে বাকি NCR জেলাগুলিতে এটি কার্যকর করা হবে। পুরোনো পেট্রোল-ডিজেল যানবাহন ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হবে। দূষণের একটি বড় কারণ হলো রাস্তায় উড়ন্ত ধুলো। এই সমস্যার সমাধানে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার রাস্তার পুনঃনির্মাণ করা হবে। সবুজায়ন ও পাকাকরণের সাথে সাথে মেকানিক্যাল সুইপার, অ্যান্টি-স্মগ গান এবং পানি ছিটানোর যন্ত্রপাতিও কেনা হবে।
কী বলছেন কর্মকর্তারা?
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ঢাকা-এনসিআর-এ দূষণ কমাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অটোমোবাইল কোম্পানির সাথে আলোচনা করছে। সরকার মনে করে ইলেক্ট্রিক ও CNG যানবাহনকে উৎসাহিত করে বাতাসের মান উন্নত করা সম্ভব। সরকার BS VI-এর চেয়ে কম এমিশন স্ট্যান্ডার্ড সম্পন্ন মালবাহী যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ ব্যাপারে আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে।
ঢাকা-এনসিআর-এ বসবাসকারীদের ধীরে ধীরে তাদের পেট্রোল ও ডিজেল যানবাহন পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সরকারের এই পরিকল্পনার সরাসরি প্রভাব পড়বে যারা এখনও ঐতিহ্যগত জ্বালানি যানবাহন ব্যবহার করছেন তাদের উপর। তবে, নতুন পরিকল্পনা কার্যকর হওয়ার আগে যথেষ্ট সময় দেওয়া হবে যাতে মানুষ পরিবর্তনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।