পটনায় গান্ধী ময়দানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ৫০ লক্ষ যুবককে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বিধানসভায় সরকারি চাকরি ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বিহার নিউজ: রবিবার পটনার গান্ধী ময়দানে আয়োজিত শিক্ষক নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বড় ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ৫০ লক্ষ যুবককে সরকারি চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেবে। বিপিএসসি টিআরই-৩ ভর্তির অধীনে নির্বাচিত শিক্ষকদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার পর তিনি এই ঘোষণা দেন। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারসহ আরও অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
৫১ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছেন
বিহার সরকার বিপিএসসি শিক্ষক নিয়োগ অভিযানের অধীনে ৫১,০০০-এর বেশি শিক্ষককে নিয়োগপত্র দিয়েছে। পটনার গান্ধী ময়দানে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী নিজে ১০,৭৩৯ জন শিক্ষককে নিয়োগপত্র তুলে দেন, এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য ৩১টি জেলায়ও নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সম্রাট চৌধুরীর বড় ঘোষণা – ৫০ লক্ষকে কর্মসংস্থান
গান্ধী ময়দানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বলেন, "চার-পাঁচ দিন আগে আমরা বিধানসভায় ঘোষণা করেছিলাম যে বিহার সরকার ৫০ লক্ষ মানুষকে সরকারি চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেবে। এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা আজ পর্যন্ত দেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেননি।" তিনি বলেন, এখন বিহারে শিক্ষার মান নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না, কারণ বিপিএসসি থেকে নির্বাচিত শিক্ষকরা রাজ্যে শিক্ষা সংস্কারের দিকে বড় অবদান রাখবেন।
শিক্ষা খাতে ৬০,০০০ কোটি টাকার বাজেট
উপ-মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বিহার সরকার শিক্ষা খাতকে শক্তিশালী করার জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নির্দেশে বিহারের মোট ৩.১৭ লক্ষ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে ৬০,০০০ কোটি টাকা শুধুমাত্র শিক্ষা ও শিক্ষক নিয়োগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, সরকার শিক্ষার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করছে এবং আগামী দিনে শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
ছাত্রবৃত্তিও দ্বিগুণ করা হয়েছে
শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য বিহার সরকার ছাত্রবৃত্তির পরিমাণও দ্বিগুণ করেছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অতি পিছিয়ে পড়া, পিছিয়ে পড়া, দলিত ও সংখ্যালঘু সমাজের ছাত্রছাত্রীদের ছাত্রবৃত্তি যোজনার মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে যাতে তারা উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।