भारतीय রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এর জুন বুলেটিনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে যে বাণিজ্য নীতিতে অনিশ্চয়তা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্রুত অস্থিরতা সৃষ্টি করছে
भारतीय রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এর জুন ২০২৩ বুলেটিনে প্রকাশিত একটি নতুন নিবন্ধে দেখা যায় যে বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও ভারতের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। বুলেটিনের “অর্থনৈতিক পরিস্থিতি” নামক অংশে বলা হয়েছে যে মে ২০২৩-এর উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি অর্থনৈতিক সূচক অনুযায়ী, দেশের শিল্প এবং পরিষেবা উভয় খাতেই দ্রুত কার্যকলাপ চলছে।
বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা
বুলেটিনে বলা হয়েছে যে বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতি দ্বিধাগ্রস্ত - একদিকে বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তা, এবং অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি। এর ফলে বিনিয়োগ, উৎপাদন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব পড়ছে।
তবে, ভারতের অর্থনীতি এই চাপগুলোর সামনে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
ভারতের শিল্প এবং পরিষেবা খাতের দৃঢ়তা
RBI বুলেটিনে উল্লেখ করেছে যে মে ২০২৩-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের শিল্প এবং পরিষেবা খাত এখনও সক্রিয় এবং শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
শিল্প উৎপাদন, বিদ্যুতের ব্যবহার, পরিবহন, বিমান চলাচল এবং ব্যাংকিং লেনদেনের মতো উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সূচকগুলোতে উন্নতি দেখা গেছে। এটি নির্দেশ করে যে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
কৃষিতেও অগ্রগতি
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রধান ফসলের উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। বিশেষ করে বর্ষা এবং শীতকালীন ফসলে উন্নত জাত, উন্নত জলসেচ ব্যবস্থা এবং সরকারি প্রকল্পের কারণে কৃষিতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।
এর ফলে গ্রামীণ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং খাদ্য সামগ্রীর সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির উপর নিয়ন্ত্রণ
মে ২০২৩-এ ভারতের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি (খাদ্য এবং জ্বালানির দাম সহ) RBI-এর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য নিচে ছিল।
এটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সাফল্যকে নির্দেশ করে এবং সাধারণ মানুষের জন্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এছাড়াও, খাদ্য সামগ্রী ও পেট্রোলিয়ামের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
ঋণ এবং সুদের হার অনুকূল
বুলেটিনে বলা হয়েছে যে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বর্তমানে বেশ অনুকূল। বিশেষ করে সুদের হার কমানোর ফলে ধীরে ধীরে ঋণ বাজার এবং সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত তারল্য রয়েছে এবং ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
RBI-এর ব্যাখ্যা
भारतीय রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) স্পষ্ট করেছে যে বুলেটিনে প্রকাশিত নিবন্ধটি লেখকদের ব্যক্তিগত মতামত এবং এটি RBI-এর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নয়।
তবে, এই ডেটা এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে ভারতের অর্থনীতি কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
निर्यात এবং আমদানি উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি
২০২৫ সালের প্রথম দিকে ভারতের রপ্তানি এবং আমদানি উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতির লক্ষণ দেখা গেছে। ইলেকট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অটোমোবাইল শিল্পের কোম্পানিগুলো ভালো ফল করেছে। একই সময়ে, অপরিশোধিত তেল এবং কয়লার আমদানি কমে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ অর্থনীতিতে সহায়তা
গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির উন্নতির পাশাপাশি মনरेगा-র মতো প্রকল্পগুলির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। এর ফলে গ্রামে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং FMCG কোম্পানিগুলোর বিক্রয়েও উন্নতি দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ
RBI বুলেটিনে স্বীকার করেছে যে বিশ্ব পরিস্থিতিতে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি, ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস, চীনের দুর্বল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মতো বিষয়গুলো ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।