রাজস্থানে কোচিং সেন্টার নিয়ন্ত্রণে নতুন বিল

রাজস্থান সরকার রাজ্যে কোচিং সেন্টারগুলিকে নিয়ন্ত্রিত করার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ পরিবেশ প্রদানের উদ্দেশ্যে “রাজস্থান কোচিং সেন্টার (নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০২৫” কে অনুমোদন দিয়েছে।

জয়পুর: রাজস্থান সরকার “রাজস্থান কোচিং সেন্টার (নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০২৫” কে অনুমোদন দিয়েছে, যার উদ্দেশ্য রাজ্যের কোচিং প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ প্রদান করা। মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা-এর অধ্যক্ষতায় অনুষ্ঠিত কেবিনেট বৈঠকে এই বিলটি অনুমোদিত হয়, যার ফলে রাজ্যে পরিচালিত কোচিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

এই বিল অনুযায়ী ৫০ জন বা তার বেশি ছাত্র-ছাত্রী সম্পন্ন কোচিং সেন্টারের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। এছাড়াও, একটি রাজ্য-স্তরীয় পোর্টাল, ২৪x৭ হেল্পলাইন এবং তদারকি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। সরকার দক্ষতা উন্নয়ন নীতিও অনুমোদন দিয়েছে, যাতে যুবক-যুবতীদের নতুনতম প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সমান সুযোগ নীতিও প্রয়োগ করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন।

কোচিং সেন্টারের জন্য বাধ্যতামূলক নিবন্ধন

নতুন বিল অনুযায়ী, এখন ৫০ জন বা তার বেশি ছাত্র-ছাত্রী সম্পন্ন সকল কোচিং সেন্টারকে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। সরকার মনে করে এতে প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্বচ্ছতা আসবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের শোষণ রোধ করা যাবে। উপমুখ্যমন্ত্রী প্রেমচন্দ বৈরবা বলেছেন, এই আইনের অধীনে যেকোনো অবৈধভাবে পরিচালিত কোচিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজ্য-স্তরীয় পোর্টাল এবং ২৪x৭ হেল্পলাইনের স্থাপন

কোচিং প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি রাজ্য-স্তরীয় পোর্টাল তৈরি করা হবে। এছাড়াও, ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা সমাধানের জন্য ২৪x৭ হেল্পলাইন সেবা চালু করা হবে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল জানিয়েছেন, “রাজস্থান কোচিং প্রতিষ্ঠান (নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ” গঠন করা হবে, যারা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকলাপের উপর নজর রাখবে।

নতুন মডেল করিয়ার সেন্টার স্থাপন

রাজ্য সরকার যুবক-যুবতীদের কর্মজীবন নির্দেশনা এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সকল বিভাগীয় সদর দপ্তরে মডেল কর্মজীবন কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে কর্মজীবন পরামর্শ, ইন্টার্নশিপ এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা হবে। সরকার দক্ষতা উন্নয়ন নীতিও অনুমোদন দিয়েছে, যাতে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), মেশিন লার্নিং, অটোমেশন এবং সাইবার সিকিউরিটি-এর মতো নতুনতম প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিল্প ক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী কোর্স তৈরি করা হবে এবং অন-দ্য-জব ট্রেনিংয়ের সুবিধাও দেওয়া হবে।

প্রতিবন্ধীদের জন্য সমান সুযোগ নীতি প্রয়োগ

সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সমান সুযোগ নীতিও অনুমোদন দিয়েছে, যাতে সরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য বাধাহীন প্রবেশ নিশ্চিত করা যায়। এই নীতি প্রতিবন্ধী কর্মচারীদের তাদের কাজ কার্যকরীভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। তাদের মতে, এতে কোচিং শিল্পে মান ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। সরকার মনে করে এই বিল ছাত্র-ছাত্রীদের আরও ভালো ও নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ প্রদানে সহায়ক হবে।