ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভংশু शुक्ला আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে

ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভংশু शुक्ला আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে
সর্বশেষ আপডেট: 5 ঘণ্টা আগে

ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভংশু शुक्ला অ্যাক্সিয়াম-৪ মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) যাত্রা করলেন। লখনউ থেকে যাত্রা শুরু করা এই তরুণ দেশটিকে মহাকাশে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল। পরিবার গর্বে আবেগাপ্লুত।

শুভংশু शुक्ला অ্যাক্সিয়াম-৪: ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভংশু शुक्ला অ্যাক্সিয়াম-৪ মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS)-এর জন্য ঐতিহাসিক যাত্রা সম্পন্ন করেছেন। শুভংশুর এই সাফল্যে লখনউ শহর, তার স্কুল এবং পুরো দেশ গর্বিত। এটি কেবল একটি বৈজ্ঞানিক অর্জন নয়, বরং ভারত এবং এর জন্য একটি আবেগপূর্ণ ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

পরিবারের জন্য আবেগপূর্ণ মুহূর্ত

শুভংশুর মহাকাশে যাত্রা করার সময় তার মা-বাবা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। তার মা আশা शुक्ला সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের অনুভূতি প্রকাশ করা কঠিন। আমরা কোনো ভয় অনুভব করছি না, কেবল গর্ব এবং আনন্দ হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন যে, ছেলের এই সাফল্যে তিনি গর্বিত এবং এই মুহূর্তটি সারাজীবন মনে রাখবেন।

স্কুলেও উদযাপন

লখনউতে অবস্থিত শুভংশুর স্কুলে এই মিশনের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা লাইভ লঞ্চ দেখেছেন এবং পুরো পরিবেশকে ‘মিনি মিশন কন্ট্রোল সেন্টার’-এর মতো করে সাজানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ স্পেস থিমের উপর ভিত্তি করে সাজসজ্জা করেছে এবং শিশুদের মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে।

পুরোনো দিনের স্মৃতি

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শিবানী সিং, গণিত শিক্ষক নাগেশ্বর প্রসাদ शुक्ला এবং সিনিয়র প্রধান শিক্ষিকা জ্যোতি কশ্যপ শুভংশু সম্পর্কিত স্মৃতিচারণ করেছেন। তাঁরা জানান যে শুভংশু পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী এবংdisciplined ছিলেন। তার মধ্যে সবসময় কিছু নতুন করে করার আকাঙ্ক্ষা ছিল।

স্ত্রীকে উৎসর্গীকৃত আবেগপূর্ণ বার্তা

যাত্রা করার আগে শুভংশু शुक्ला ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “২৬ জুন সকালের দিকে যখন আমরা পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমি সেই সকল মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা এই মিশনে জড়িত। বিশেষ করে আমার স্ত্রী কামনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তোমাকে ছাড়া এটা সম্ভব হতো না, এবং এর থেকে বেশি কিছু मायने রাখে না।” তিনি একটি ছবিও পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি এবং তার স্ত্রী বিদায় জানানোর মুহূর্তে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আবেগপ্রবণ।

শিক্ষার্থীরা স্পেস মডেল তৈরি করেছে

স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই বিশেষ দিনে স্পেস মডেল তৈরি করে এবং সংবাদমাধ্যমকে তাদের সম্পর্কে জানায়। শিক্ষার্থীরা জানায় যে তারা শুভংশুর মতো দেশটিকে আরও গৌরবান্বিত করতে চায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের এই মিশন সম্পর্কে প্রযুক্তিগত তথ্য দিয়েছে, যা তাদের উৎসাহ এবং জ্ঞান উভয়ই বৃদ্ধি করেছে।

পিতার গর্বের কথা

শুভংশুর পিতা শंभুदयाल शुक्ला বলেন, “এটি কেবল লখনউ-এর জন্য নয়, সমগ্র ভারতের জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমাদের পুত্র যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা লক্ষ লক্ষ যুবকের জন্য অনুপ্রেরণা। আমাদের আশীর্বাদ সবসময় তার সাথে আছে।”

মহাকাশ মিশনে ভারতের নতুন অধ্যায়

শুভংশু शुक्ला এখন ভারতের প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্যক্তিগত কোম্পানি অ্যাক্সিয়াম স্পেসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাবেন। এটি ১৯৮৪ সালে राकेश শর্মার উড্ডয়নের পর ভারতের দ্বিতীয় মানববাহী মহাকাশ যাত্রা। এইবার মিশন সরকারি নয়, বরং বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে, যা একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

Leave a comment