২০২৭ সালের জাতিগত জনগণনাকে কেন্দ্র করে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন। উভয় নেতাই জনস্বার্থে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সঠিক তথ্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
UP রাজনীতি: উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে জাতিগত জনগণনা (Caste Census) নিয়ে বিতর্ক তীব্রতর হয়ে উঠেছে। সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)র অধ্যক্ষ অখিলেশ যাদব এবং বহুজন সমাজ পার্টি (BSP)র প্রধান মায়াবতী উভয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং সততা বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ১৬ জুন ২০২৫-এ ২০২৭ সালের জনগণনার অধিসূচনা প্রকাশের পর এই বিতর্ক আবারও শিরোনামে এসেছে।
জনগণনা নিয়ে অখিলেশ যাদবের অবিশ্বাস
সপা প্রধান অখিলেশ যাদব স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি বিজেপি সরকারের তথ্যের উপর বিশ্বাস করেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন যে যে সরকার কুম্ভের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও তথ্য গোপন করতে পারে, তার উপর জাতিগত জনগণনা এবং ভোটার তালিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কীভাবে বিশ্বাস করা যায়? অখিলেশ যাদব তার কর্মীদের সতর্ক থাকার এবং তথ্যের উপর নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
মায়াবতীও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন
অন্যদিকে, বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতীও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যে জাতিগত জনগণনার কাজ সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা এবং সততা নিয়ে সম্পন্ন করা উচিত। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ লিখেছেন যে কংগ্রেস শাসনামলে আটকে থাকা জাতিগত জনগণনার প্রক্রিয়া এখন শুরু হয়েছে, যা সময়মতো এবং সততা নিয়ে সম্পন্ন করা উচিত।
বিএসপি সংগঠনকে সজাগ করছেন মায়াবতী
মায়াবতী আরও স্পষ্ট করেছেন যে, দলীয় সংগঠনকে সজাগ করার জন্য তিনি ক্রমাগত ছোট ছোট বৈঠকের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের প্রস্তুত করছেন। সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলে বিএসপির একটি বৈঠক হয়েছে, যেখানে দলীয় সংগঠনের প্রস্তুতি এবং জনসমর্থনকে শক্তিশালী করার উপর আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও, তিনি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কৌশলের দিকেও মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার কথা বলেছেন।
জাতিগত জনগণনার পটভূমি
ভারতে জাতিগত জনগণনার দাবি দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসছে। গতবার এই গণনা ১৯৩১ সালে হয়েছিল। সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো দল, বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি, জাতিগত জনগণনাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে।
২০২১ সালের জনগণনা কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। এখন ২০২৭ সালের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অধিসূচনা জারি করেছে, কিন্তু এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অবিশ্বাসের পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।