২০২৫ সালের মার্চে রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ: সময়, দৃশ্যমানতা এবং কারণ

২০২৫ সালের মার্চে রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ: সময়, দৃশ্যমানতা এবং কারণ
সর্বশেষ আপডেট: 24-02-2025

২০২৫ সালের মার্চ মাসে একটি বিশেষ জ্যোতির্বিদ্যা ঘটনা ঘটবে, যাকে 'রক্তিম চন্দ্র' বা পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। এই সময় চাঁদ উজ্জ্বল লাল রঙে দেখাবে। আসুন জেনে নিই এই ঘটনা কখন এবং কেন ঘটে এবং এটি কোথা থেকে দেখা যাবে।

নয়াদিল্লি: ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আকাশে একটি বিরল জ্যোতির্বিদ্যা ঘটনা ঘটবে। তিন বছর পর পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) দেখা যাবে। এই সময় রক্তিম চন্দ্র (Blood Moon) এর দৃশ্যও দেখা যাবে, যখন চাঁদ উজ্জ্বল লাল বা বাদামী রঙের দেখাবে। গ্রহণ এবং জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী মানুষের জন্য এই জ্যোতির্বিদ্যা ঘটনা বিশেষ হবে।

রক্তিম চন্দ্র কখন এবং কোথায় দেখা যাবে?

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ১৩-১৪ মার্চ ২০২৫ রাতে হবে। এই সময় উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মানুষ রক্তিম চন্দ্রের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে পারবে। এছাড়াও ইউরোপ এবং আফ্রিকার কিছু অংশে আংশিকভাবে এই দৃশ্য দেখা যাবে। ভারত এবং এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে এই গ্রহণ দেখা যাবে না, কারণ সেই সময় সেখানে দিন থাকবে।

রক্তিম চন্দ্র কতক্ষণ থাকবে?

* পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের মোট সময়কাল প্রায় পাঁচ ঘন্টা হবে।
* রক্তিম চন্দ্রের দৃশ্য প্রায় ৬৫ মিনিট স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।
* ইউরোপে চাঁদের অস্ত যাওয়ার ঠিক আগে এই দৃশ্য দেখা যাবে।

রক্তিম চন্দ্র কেন দেখা যায়?

সাধারণত চাঁদ সাদা বা হালকা হলুদ দেখায়, কিন্তু পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এই সময় সূর্যের কিছু রশ্মি যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে যায়, তখন বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণ (Atmospheric Refraction) এর ফলে লাল এবং কমলা রঙের রশ্মি চাঁদে পৌঁছায়। এই কারণেই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ লাল বা বাদামী রঙের দেখায়, যাকে রক্তিম চন্দ্র বলে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ কি?

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ তখন হয়, যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরলরেখায় আসে এবং পৃথিবীর সম্পূর্ণ ছায়া চাঁদকে ঢেকে দেয়। এই সময় কিছুক্ষণের জন্য চাঁদ অদৃশ্যও হতে পারে বা তার রঙ পরিবর্তন হতে পারে। রক্তিম চন্দ্র দেখার জন্য কোনও বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং আলোক দূষণ কম থাকে, তাহলে এই ঘটনা খালি চোখেও দেখা যায়। তবে, দুরবীন বা বাইনোকুলার দিয়ে এটি আরও ভালোভাবে দেখা যায়।

Leave a comment