মোহালি (ফেজ ৭)-এর স্কুটার বাজারে কিছুদিন আগে যা ঘটেছে, তা ডিজিটাল পেমেন্টের নতুন ঝুঁকির বাস্তবতা তুলে ধরে। স্ক্যামাররা রাতে মেকানিকের দোকানগুলিতে লাগানো বৈধ QR স্ক্যানারগুলিকে গোপনে বদলে দিয়েছে এবং তাদের লাভ নিজেদের অ্যাকাউন্টে রিডাইরেক্ট করেছে। মেকানিকরা সকালে দেখেছে যে গ্রাহক মোবাইল দিয়ে UPI পেমেন্ট করেছে, কিন্তু তাদের টাকা পায়নি। তদন্ত করে জানা গেছে, তাদের উপরে জাল QR কোড লাগানো হয়েছিল, যা পেমেন্টগুলিকে স্ক্যামারদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিত।
নির্ভুল তথ্য
মেকানিক মণি সিংহ আর রাজেশ কুমারের উপর এই হামলা হয়েছে, উভয়কেই ৩০০-৫০০ টাকার ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে। ইউনিয়ন QR কোডে থাকা নাম ও মোবাইল নম্বর ট্রেস করেছে, কিন্তু যোগাযোগ করার সময় অভিযুক্তরা জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। মণ্ডি অ্যাসোসিয়েশন পুলিশে লিখিত অভিযোগ দাখিল করার ঘোষণা দিয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ এখনও FIR রেজিস্টার করতে পারেনি।
এটি কেন বড় সমস্যা?
প্রথমত, QR কোড স্ক্যাম এখন শুধুমাত্র অনলাইনে নয়, অফলাইন দোকানগুলিতেও হচ্ছে। রাজস্থান পুলিশও এই ধরণের QR কোড প্রতারণার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছিল—দোকানগুলিতে জাল কোড লাগানোর ঘটনা সামনে আসছে। ভারতে ২০২৪ সালে QR প্রতারণার ৪০,০০০+ মামলা রেকর্ড করা হয়েছিল এবং ২০২৫ সালে এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিরোধের উপায়
- দোকানদাররা: QR কোডগুলিকে সুরক্ষিত ক্যাসিংয়ে রাখুন, রাতে সরিয়ে নিন এবং দিনে নিয়মিত চেক করুন।
- গ্রাহকরা: পেমেন্ট করার আগে উপকারভোগীর নাম দেখা জরুরি—এনপিসিআই-এর পরবর্তী আপডেট ৩০ জুন থেকে UPI পেমেন্টে এই সুবিধা আনবে।
- সরকার/পুলিশ: রাতের পেট্রোলিং বৃদ্ধি করা এবং প্রতারণার সতর্কবার্তা বাড়ানো জরুরি।
এই ঘটনা দেখায় যে ডিজিটাল পেমেন্ট যত সহজ হচ্ছে, ততই চতুর সাইবার প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। ছোট মেকানিক বা ছোট ব্যবসায়ীরা সরাসরি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যদি সরকারী সংস্থা এবং বাজার সংস্থা সময়মতো সতর্কতা অবলম্বন করে, তাহলে এটিকে রোধ করা সম্ভব।