কমল হাসনের অত্যন্ত প্রতীক্ষিত গ্যাংস্টার অ্যাকশন ছবি ‘ঠগ লাইফ’ ২০২৫ সালের ৫ই জুন বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ছিল হতাশাজনক। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি বক্স অফিসে সংগ্রাম করছে এবং আয়ের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম রয়েছে।
ঠগ লাইফ বক্স অফিস সংগ্রহ ৭ম দিন: কমল হাসনের অত্যন্ত প্রতীক্ষিত ছবি ‘ঠগ লাইফ’-এর বক্স অফিস যাত্রা প্রত্যাশার বিপরীত হয়েছে। অনেক বড় বাজেট এবং তারকাশক্তির পরও ছবিটি দর্শকদের সিনেমা হলে টেনে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। সাত দিনে ছবির আয় এবং শো-এর সংখ্যা কমে যাওয়া দেখে স্পষ্ট যে ‘ঠগ লাইফ’-এর ঝড় এখন কমে গেছে।
সপ্তাহ ভরে ঠগ হয়ে গেল ‘ঠগ লাইফ’
‘ঠগ লাইফ’ তার সপ্তম দিনে, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর ৪টা পর্যন্ত মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা আয় করেছে, যা একটি মেগা-বাজেটের ছবির জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক সংখ্যা। ছবির মোট সাত দিনের আয় এখন মাত্র ৪১.৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই সংখ্যাটি ইঙ্গিত করে যে ২০০ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত এই ছবিটি তার নির্মাণ ব্যয়ের চতুর্থাংশও উদ্ধার করতে পারেনি।
৫ই জুন ছবিটি মুক্তি পেলে দেশজুড়ে এর ৪৯১৭টি শো ছিল। এর মধ্যে ১৫৩৫টি হিন্দিতে, ২৫০৩টি তামিল ভাষায়, ৭৭৭টি তেলুগু ভাষায় এবং বাকিগুলি আইম্যাক্স ২ডি এবং ৪ডিএক্স ফরম্যাটে ছিল। কিন্তু সপ্তম দিন আসতে আসতে এই সংখ্যা কমে মাত্র ২০৮৯টি শোতে নেমে এসেছে। এখন তামিল ভাষায় ১২৯০টি শো, হিন্দিতে ২১৮টি শো এবং তেলুগু ভাষায় ৫৮১টি শো বাকি রয়েছে। এই হ্রাস ইঙ্গিত করে যে থিয়েটার মালিকরা ছবির খারাপ পারফরম্যান্স বুঝতে পেরে শোগুলি বন্ধ করতে শুরু করেছে।
ছবির কমে যাওয়া সাফল্যের পিছনে কারণ
‘ঠগ লাইফ’-এর ব্যর্থতার পিছনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ সামনে এসেছে:
- কন্নড়-তামিল বিবাদের প্রভাব: ছবির কন্নড়-বিরোধী বিতর্কের কারণে এটি কর্ণাটকে মুক্তি পায়নি। এর ফলে ছবিটি দক্ষিণের একটি বড় বাজার হারিয়েছে।
- ‘হাউসফুল ৫’-এর সাথে প্রতিযোগিতা: মুক্তির প্রথম দিনেই ছবিটি অক্ষয় কুমারের কমেডি সিরিজ ‘হাউসফুল ৫’-এর সাথে প্রতিযোগিতায় পড়ে। ‘হাউসফুল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির শক্তিশালী ফ্যানবেস থাকার কারণে দর্শকদের ঝোঁক বেশি তার দিকে ছিল।
- দুর্বল চিত্রনাট্য এবং দীর্ঘ দৈর্ঘ্য: দর্শক এবং সমালোচক উভয়ই ছবির চিত্রনাট্যকে দুর্বল বলে মনে করেছেন। এছাড়াও, এর দীর্ঘ দৈর্ঘ্য এবং ধীর গতির বর্ণনা দর্শকদের বিরক্ত করেছে।
- মার্কেটিং-এর ঘাটতি: যেখানে অন্যান্য বড় ছবি আক্রমণাত্মক প্রচার করে, সেখানে ‘ঠগ লাইফ’-এর প্রচারাভিযান ফিকে ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মাঠ পর্যন্ত, ছবির আয়ত্তা কম ছিল।
‘ঠগ লাইফ’ जैसी উচ্চ বাজেটের ছবির বক্স অফিসে এমন অবস্থা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি বড় ইঙ্গিত যে শুধুমাত্র তারকা জুটি এবং ভিজুয়াল ইফেক্টসের উপর নির্ভর করে ছবি চলে না। দর্শকরা এখন সামগ্রীতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন এবং তাদের অগ্রাধিকার পরিবর্তিত হয়েছে।