দীপিকা-সন্দীপ বিতর্কে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সমর্থন: ৮ ঘন্টার শিফ্ট নিয়ে নতুন বিতর্ক

দীপিকা-সন্দীপ বিতর্কে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সমর্থন: ৮ ঘন্টার শিফ্ট নিয়ে নতুন বিতর্ক
সর্বশেষ আপডেট: 22 ঘণ্টা আগে

বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোণ সম্প্রতি পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে সরে গেছেন, আর এই সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ এখন ইন্ডাস্ট্রিতে আলোচনার বড় বিষয় হয়ে উঠেছে।

সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রার ৮ ঘন্টার শিফ্ট সম্পর্কে মন্তব্য: বলিউডে এই সময় শুটিং শেডুল এবং কর্মঘন্টা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর সূচনা হয় যখন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে দীপিকা পাড়ুকোণের বের হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। দাবি করা হয় যে দীপিকা ৮ ঘন্টার শিফ্টের দাবি জানিয়েছিলেন, যা ছবির টিম মেনে নেয়নি। এরপর ছবি থেকে দীপিকার নাম সরিয়ে দেওয়া হয় এবং এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রিতে বিতর্কের সৃষ্টি করে।

এই বিতর্কে এখন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং দীপিকার পক্ষ নিয়ে স্পষ্টভাবে তার সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে ৮ ঘন্টার শিফ্টের দাবি নতুন কিছু নয় এবং অস্বাভাবিকও নয়। তিনি রানী মুখার্জী এবং কাজলের মতো বড় তারকার উদাহরণ দিয়ে এই বক্তব্যকে আরও জোরদার করেছেন।

‘হিচকি’তেও ৮ ঘন্টার শিফ্ট

সিদ্ধার্থ মালহোত্রা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি তার জনপ্রিয় ছবি ‘হিচকি’ (২০১৮) এর শুটিং সম্পূর্ণরূপে ৮ ঘন্টার শিফ্টে করেছিলেন। তিনি বলেছেন, “আমরা পুরো ছবিটি ২৮টি ৮ ঘন্টার শিফ্টে শেষ করেছিলাম। এতে রানী মুখার্জী, শিশুরা, টেকনিক্যাল ক্রু সবাই জড়িত ছিল। সবাই তাদের কাজের পরিকল্পনা সেই শেডুলে অনুযায়ী করেছিল এবং ছবিটি সময়মতো শেষ হয়েছিল।” সিদ্ধার্থ আরও স্পষ্ট করে বলেছেন যে সীমিত সময়ের মধ্যে উচ্চমানের কাজ করা অসম্ভব নয়, শুধুমাত্র দলগত কাজ এবং পেশাদারিত্বের প্রয়োজন।

কাজল এবং রানীও এমন শর্ত রেখেছিলেন

সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছেন যে ২০০০ সালে কাজলের সাথে কাজ করার সময়ও একই শর্ত রাখা হয়েছিল। কাজল স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে তিনি ৮ ঘন্টার শিফ্টে শুটিং করবেন — সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা হোক বা সকাল ৭টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত। রানী মুখার্জীও একই সূত্র অনুসরণ করতেন। তাই যদি দীপিকা একই চান, তাহলে এতে নতুন কিছু নেই।

সিদ্ধার্থ দীপিকার সমালোচকদেরও তীব্র জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে একজন নারী শিল্পী যদি তার পরিবারের জন্য সময় চান বা ভারসাম্য বজায় রাখতে চান, তাতে কোনো দোষ নেই। এটি শুধুমাত্র দীপিকার কথা নয়। লোকেরা শুধুমাত্র প্রচারের জন্য তার নাম ব্যবহার করছে। কোনও শিল্পী যদি বলে যে আমি ৮ ঘন্টা কাজ করব, এবং আপনার সেই অভিনেতার প্রয়োজন আছে, তাহলে আপনি সেই সময়সীমার মধ্যে উচ্চমানের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন।

‘স্পিরিট’ বিতর্ক: ইন্ডাস্ট্রির কর্মসংস্কৃতি আবার আলোচনায়

‘স্পিরিট’ ছবি থেকে দীপিকার বের হওয়ার পর, সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ইন্ডাস্ট্রির অবাস্তব কর্মসংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু অভিনেতা দীপিকার সমর্থন করেছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পক্ষ নিয়েছেন। যদিও সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রার মতো পরিচালকদের সমর্থন এটা বোঝায় যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পদ্ধতিতে এখন ধীরে ধীরে পরিবর্তনের ঢেউ চলছে — যেখানে শিল্পীরাও তাদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে।

Leave a comment