অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে ‘পঞ্চায়েত’ সিজন ৪ শুরু হয়েছে, যা ২৬ জুন থেকে দর্শকদের জন্য উপলব্ধ। এই সিজনে গল্পটি फुलेরা গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনের চারপাশে ঘোরে। নীনা গুপ্তা এবং জিতেন্দ্র কুমার-এর মতো পরিচিত অভিনেতাদের ফিরে আসার কারণে দর্শকদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তবে কিছু দর্শক এর পরিবর্তিত ধারা এবং ক্রমবর্ধমান জটিলতা নিয়ে হতাশ হয়েছেন। এই সিজনটি রাজনীতিকে কেন্দ্র করে সরলভাবে এগিয়েছে।
নির্বাচন মুখ্য বিষয় হিসেবে
সিজনের শুরুটা হয়েছে আগের পর্বের শেষ অংশ থেকে, যেখানে फुलेরা গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচন তুঙ্গে। মানজু দেবী (নীনা গুপ্তা) এবং क्रांति দেবীর মধ্যে সরাসরি সংঘাত দেখা যাচ্ছে। দু’জনের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে লাউকি ও প্রেসার কুকারের মতো সাধারণ জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে।
এই সিজনে सचिव জি, অর্থাৎ জিতেন্দ্র কুমারের ভূমিকা আগের থেকে কিছুটা কম, এবং গল্পটি মানজু দেবীর রাজনৈতিক যাত্রার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। লেখক চন্দন কুমার এবং পরিচালক দীपक কুমার মিশ্র এই পর্বে গ্রামের রাজনীতি এবং সামাজিক পরিবর্তনগুলোকে প্রধান বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন।
গল্পের পরিবর্তিত ধারা
আগের তিনটি সিজনের ‘পঞ্চায়েত’ তার সরলতা, হাস্যরস এবং ছোট গ্রামের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোর সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু চতুর্থ সিজনটি আগের থেকে বেশি গুরুতর এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি।
গ্রামের ক্ষমতা, নেতৃত্ব এবং পরিবর্তিত সামাজিক সম্পর্কগুলো এই সিজনের গল্পকে নতুন পথে চালিত করছে। কিছু দর্শক এই পরিবর্তনকে ইতিবাচক মনে করলেও, অনেকে এর আগের সরলতার অভাব অনুভব করছেন।
দর্শকদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র
সোশ্যাল মিডিয়ায় সিজনটি নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র ছিল। একজন দর্শক লিখেছেন, “রিনকির বাবার জন্য খুব খারাপ লাগছে।” অন্য একজন লিখেছেন, “চতুর্থ সিজনটা একটু জটিল এবং ভারী লাগছে, আগের মতো সরলতা নেই।”
অন্যদিকে, অনেকে বলেছেন যে এই পর্বটিও আবেগপূর্ণ, প্রভাবশালী এবং হৃদয়স্পর্শী। মানজু দেবী এবং क्रांति দেবীর মধ্যেকার দ্বন্দ্ব দর্শকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে।
সময়সূচী থেকে আগে মুক্তি
এই সিজনটি নির্ধারিত তারিখ থেকে এক সপ্তাহ আগে, ২৬ জুন রাত ১২:০০ টায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটি দর্শকদের জন্য একটি অপ্রত্যাশিত চমক ছিল এবং মুক্তির পরপরই লক্ষ লক্ষ মানুষ এটি দেখতে শুরু করেছে। এই সিজনটি শুধুমাত্র অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে উপলব্ধ।