‘মর্জি কি মালিকিন’: নারীশক্তির উদযাপন, জনপ্রিয়তার শিখরে নতুন গান

‘মর্জি কি মালিকিন’: নারীশক্তির উদযাপন, জনপ্রিয়তার শিখরে নতুন গান
সর্বশেষ আপডেট: 2 দিন আগে

মহিলা সশক্তিকরণের প্রতি উৎসর্গীকৃত এবং আত্মনির্ভরতার উদযাপন করে নতুন একটি গান ‘মর্জি কি মালিকিন’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই গানটি কেবলমাত্র কথার ও সুরের মাধ্যমে নয়, বরং এর বার্তার মাধ্যমেও মহিলাদের নিজেদের জীবনের গল্প নিজেই লেখার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।

এন্টারটেইনমেন্ট: বলিউড অভিনেত্রী পারুল গুলাটি এবং বিখ্যাত গায়িকা শুনিধি চৌহান বিশ্ব সংগীত দিবসের বিশেষ দিনে ‘মর্জি কি মালিকিন’ নামক একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক গান প্রকাশ করেছেন। এই গানটি ইন্টারনেট সেনসেশন এবং মিউজিক প্রযোজক যশরাজ মুখাটে কম্পোজ করেছেন, যিনি তার অনন্য সঙ্গীত শৈলী এবং ভাইরাল ট্র্যাকের জন্য পরিচিত।

‘মর্জি কি মালিকিন’ কেবলমাত্র একটি আকর্ষণীয় সুর বা ট্রেন্ডি বিট নয়। এই গানটি মহিলাদের আত্মবিশ্বাস, নিজের পছন্দের উপর অধিকার এবং নিজের কণ্ঠ স্পষ্টভাবে তুলে ধরার অধিকারকে উদযাপন করে।

গান যা শুধু শোনা হয় না, অনুভূত হয়

‘মর্জি কি মালিকিন’ কোন সাধারণ মিউজিক ট্র্যাক নয়, বরং এটি একটি আবেগঘন ঘোষণা। এটি সেই প্রতিটি মেয়ে এবং মহিলার গল্প, যাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে, অথবা যাদেরকে সমাজ ‘সীমা’র মধ্যে থাকতে শিখিয়েছে। এই গানের কথা মহিলার আত্মনির্ণয়, স্বাধীনতা এবং কণ্ঠকে খোলাখুলিভাবে তুলে ধরে। পারুল গুলাটির কথায়, ‘মর্জি কি মালিকিন’ কেবল একটি লাইন নয়, এটি প্রতিটি মহিলার স্বাধীনতার ঘোষণা।

শুনিধি চৌহানের কণ্ঠ শক্তির প্রতিধ্বনি

এই গানের আত্মা হল শুনিধি চৌহানের দমদার কণ্ঠ, যাতে নারীশক্তির স্পষ্ট ছায়া দেখা যায়। গানে তার স্বর প্রতিটি শব্দে যেন একটা আগুন, একটা বিদ্রোহ এবং আত্মসম্মান নিয়ে এসেছে। পারুলও স্বীকার করেছেন যে, শুনিধির কণ্ঠে সেই জুনুন রয়েছে, যা এই গানের জন্য প্রয়োজন ছিল। তিনি শুধু গেয়েছেন না, বেঁচেছেন। শুনিধি, যিনি সবসময় তাঁর ভোকাল পাওয়ারের জন্য পরিচিত, এই গানেও শ্রোতাদের আবেগের ঢেউয়ের সাথে বহিয়ে নিয়ে যান।

যশরাজ মুখাটের সঙ্গীত: ঐতিহ্যবাহী তাল এবং আধুনিক গ্রুভের মেলবন্ধন

এই গানটির সুর ও সঙ্গীত করেছেন যশরাজ মুখাটে— সেই শিল্পী যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রসোড়ে কে ছিল’ সহ অন্যান্য ট্রেন্ডের মাধ্যমে নিজের একটি স্বাতন্ত্র্য তৈরি করেছেন। ‘মর্জি কি মালিকিন’ এ যশরাজ আধুনিক বিটের সাথে ভারতীয় আবেগের এমন মিশ্রণ তৈরি করেছেন যা তরুণদের কেবলমাত্র আকর্ষণ করে না, বরং তাদের নিজেদের গল্পের সাথেও জুড়ে দেয়।

গানের ধারণা এবং উপস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী পারুল গুলাটি নিজেও মহিলাদের সশক্তিকরণের এক উদাহরণ। অভিনয় জগৎ থেকে বেরিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পারুল অনেক মহিলার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।

সঙ্গীতের বাইরে, এটি এক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে

গানটির প্রকাশের সময় পারুল বলেছেন, এই ট্র্যাক তাদের সকল মহিলার জন্য, যাদেরকে প্রায়শই চুপ থাকতে, আপোষ করতে বা নিজেদের সীমিত রাখতে বলা হয়। এখন সময় এসেছে ‘মর্জি করে বেঁচে থাকার’। ‘মর্জি কি মালিকিন’ এখন আর কেবল একটি গান নয়, এটি একটি আবেগঘন আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

  • অনেক তরুণী এই গানটিকে তাদের ওয়ালপেপার, স্ট্যাটাস অথবা ইনস্টাগ্রাম রিলের অংশ করে তুলেছেন।
  • ইনফ্লুয়েন্সার এবং নারীবাদী সম্প্রদায় এটিকে মহিলাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গান বলে মনে করছে।
  • কর্পোরেট এবং স্কুল-কলেজেও এটি "উইমেন ইন লিডারশিপ" সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে বাজানো হচ্ছে।

Leave a comment