সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের জন্মদিন

সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের জন্মদিন
সর্বশেষ আপডেট: 09-01-2025

সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর: সূর্যোদয়ের ৯ই জানুয়ারি, সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর তাঁর জন্মদিন পালন করেন। তিনি ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারি দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর, কেবল একজন কূটনীতিকই নন, তিনি একজন নেতাও যিনি ভারতীয় কূটনীতিকে বিশ্বের মঞ্চে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। রাজনীতি ও কূটনীতিতে তাঁর নাম অত্যন্ত সম্মানিত। ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারি দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী জয়শঙ্করের জীবন এক অনুপ্রেরণা, যিনি ভারতীয় পররাষ্ট্র নীতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা

জয়শঙ্করের জন্ম একজন বিশিষ্ট ভারতীয় সিভিল সার্ভেন্ট, কৃষ্ণস্বামী সুব্রহ্মণ্যম এবং সুলোচনা সুব্রহ্মণ্যমের ঘরে। তামিল হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করে, তাঁর শৈশব থেকেই ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। দিল্লির এয়ার ফোর্স স্কুল এবং ব্যাঙ্গালোর মিলিটারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে, তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে রসায়ন বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে এমএ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর শিক্ষায় পারমাণবিক কূটনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, যা তাঁর ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কূটনৈতিক জীবন: এক নতুন দিকনির্দেশনা

জয়শঙ্করের কূটনৈতিক জীবন ১৯৭৯ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র সেবা (আইএফএস) তে যোগদান করে শুরু হয়। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি সিঙ্গাপুরে ভারতীয় উচ্চায়ুক্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে শক্তিশালী করেন। এরপর, তিনি ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত চেক প্রজাতন্ত্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং চীনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ভারত-আমেরিকা অ-পারমাণবিক চুক্তি

জয়শঙ্কর ভারত-আমেরিকা অ-পারমাণবিক চুক্তি সম্পর্কিত আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকার মধ্যে পারমাণবিক শক্তি খাতে সহযোগিতা শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা এবং নেতৃত্বের দক্ষতা এই চুক্তি সফল করতে সাহায্য করেছিল, যা ভারতের শক্তি চাহিদা পূরণে নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করেছিল। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তিনি আরও শক্তিশালী করেন ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক।

``` (This is the first part of the rewritten article. Due to the token limit, the remaining portions will be provided in subsequent responses.)

Leave a comment