কি ভৈরবী দেবী মন্দিরের পুরোহিতদের সরকারি বেতনমান অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়? জেনে নিন পুরোহিতদের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সরকারি সুবিধা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য।
ভৈরবী দেবী পুরোহিত বেতন: জম্মু-কাশ্মীরের ত্রিকুটা পর্বতে অবস্থিত শ্রী মা ভৈরবী দেবী মন্দির কেবলমাত্র ভারতের নয়, বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ ধর্মীয় স্থান। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত কঠিন আরোহণ পেরিয়ে ‘জয় মাতা দী’ ধ্বনিতে এই পবিত্র স্থানে উপস্থিত হন। মন্দিরের ব্যবস্থা ও পরিচালনা শ্রী মা ভৈরবী দেবী শ্রাইন বোর্ড (SMVDSB)-এর হাতে, যা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত।
শ্রাইন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন
মন্দিরে পূজা-অর্চনা করানো পুরোহিতদের সম্পূর্ণরূপে শ্রাইন বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী বেতন ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়। এই বেতন সরকারি বেতনমানের ধারণায় নির্ধারিত হয়, যার মধ্যে মূল বেতন, ডিএ (মূল্যস্ফীতি ভাতা), এইচআরএ (গৃহ ভাড়া ভাতা) এবং অন্যান্য ভাতা অন্তর্ভুক্ত। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে পুরোহিতদের বেতন সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয় না, তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, একজন স্থায়ী পুরোহিত প্রতি মাসে গড়ে ৩৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা বেতন পান।
কেবলমাত্র বেতন নয়, অনেক সুবিধাও পাওয়া যায়
ভৈরবী দেবী মন্দিরে কর্মরত পুরোহিতরা কেবলমাত্র বেতনই নয়, বরং অন্যান্য অনেক সরকারি সুবিধাও পান। এর মধ্যে চিকিৎসা সুবিধা, বাসস্থান, সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্য এবং বার্ষিক বোনাস অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু মন্দির একটি উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন ও কঠিন ভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত, তাই এখানে কর্মরত কর্মীদের বিশেষ ভাতাও দেওয়া হয়।
রাম মন্দিরের পুরোহিতদের বেতনও আলোচনায়
অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিতদের বেতনও সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পণ্ডিত মোহিত পাণ্ডে প্রতি মাসে ৩২,৯০০ টাকা বেতন পান, অন্যদিকে সহকারী পুরোহিতরা ৩১,০০০ টাকা মাসিক পান। পূর্বে এই অঙ্কটি অনেক কম ছিল, কিন্তু সম্প্রতি তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি দেখায় যে দেশের বৃহৎ ধর্মীয় স্থানগুলিতে পুরোহিতদের সেবায় যথাযথ বেতন ও সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
এভাবে, ভৈরবী দেবী মন্দিরের পুরোহিতরা কেবলমাত্র শ্রদ্ধা ও সেবার সাথে জড়িত নন, বরং তাঁরা শ্রাইন বোর্ডের পক্ষ থেকে স্থায়ী বেতন ও অনেক সুবিধাও পান, যার ফলে তাঁরা সম্মানের সাথে জীবনযাপন করতে পারেন।