বাংগালুরুর ভারতীয় বিজ্ঞান संস্থান (IISc)-এর বিজ্ঞানীরা ন্যানোবটের ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যার নাম "ইন্টারমিটেন্ট র্যান্ডমায়জেশন"। এই প্রযুক্তি একই নিয়ন্ত্রণ সংকেতের আওতায় ন্যানোবটগুলিকে ভিন্ন ভিন্নভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা প্রদান করে, যা চিকিৎসা, ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটিং ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করতে পারে।
ন্যানোবটের ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণ: একটা প্রযুক্তিগত বিপ্লব
ন্যানোবট, যা অতি ক্ষুদ্র আকারের রোবট, সাধারণত একই নিয়ন্ত্রণ সংকেতের আওতায় একইভাবে কাজ করে। এর ফলে ব্যক্তিগত ন্যানোবটগুলিকে আলাদা আলাদা কাজের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। IISc-এর সেন্টার ফর ন্যানো সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CeNSE)-এর অধ্যাপক অম্বরীশ ঘোষের নেতৃত্বে গবেষকরা "ইন্টারমিটেন্ট র্যান্ডমায়জেশন" প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যেখানে প্রতিটি ন্যানোবটের দিক কিছুক্ষণের জন্য এলোমেলোভাবে পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে একই নিয়ন্ত্রণ সংকেতের আওতায়ও তারা ভিন্ন ভিন্নভাবে চলে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সম্ভাবনা
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক নতুন সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে:
- কোষ-নির্দিষ্ট ঔষধ বিতরণ: ন্যানোবটগুলিকে নির্দিষ্ট কোষে ঔষধ পৌঁছানোর জন্য নির্দেশিত করা যাবে।
- অভ্যন্তরীণ শল্যচিকিৎসা: ন্যানোবট ব্যবহার করে শরীরের ভেতরে ক্ষুদ্র শল্যচিকিৎসা করা যাবে।
- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ: সংক্রামিত এলাকায় ন্যানোবট পাঠিয়ে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা যাবে।
ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটিংয়ে ব্যবহার
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ন্যানোবট ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটিংয়েও ব্যবহার করা যাবে:
- সঠিক নির্মাণ: ন্যানোবট ব্যবহার করে ক্ষুদ্র স্তরে সঠিক নির্মাণ সম্ভব।
- ডেটা প্রক্রিয়াকরণ: ন্যানোবট ব্যবহার করে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে।
- ন্যানোস্কেল কম্পিউটিং: ন্যানোবট ব্যবহার করে ন্যানোস্কেল কম্পিউটিং সম্ভব।
বাংগালুরুর IISc কর্তৃক উদ্ভাবিত "ইন্টারমিটেন্ট র্যান্ডমায়জেশন" প্রযুক্তি ন্যানোবটের ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রযুক্তি চিকিৎসা, ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটিং ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করে এবং ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রগুলিতে বিপ্লব সাধন করতে পারে।