সাবুদানা খিচুড়ি ভারতের অনেক অংশে, বিশেষ করে ব্রত, উপবাস এবং ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে খাওয়া হয়। ছত্তিশগড়ে এটি জলখাবার বা হালকা খাবার হিসেবে খুব পছন্দ করে খাওয়া হয়। সাবুদানা দিয়ে তৈরি খিচুড়ি শুধু স্বাদে নয়, হজমের জন্যও খুব হালকা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরকে শক্তি যোগায়, বিশেষ করে যখন আপনি উপবাস করছেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ (৩ থেকে ৪ জনের জন্য)
- সাবুদানা ১ কাপ
- সিদ্ধ আলু ½ কাপ (ছোট টুকরো করে কাটা)
- চীনাবাদাম ¼ কাপ (ভাজা)
- সৈন্ধব লবণ ½ চামচ (ব্রতের জন্য)
- গোলমরিচ গুঁড়ো ½ চামচ
- জিরে গুঁড়ো ১ চামচ
- ধনে পাতা ১ চামচ (কুচি করা)
- চিনি ½ চামচ (ঐচ্ছিকভাবে)
- কাঁচা লঙ্কা ২টি (কুচি করা)
- লেবুর রস ১ চামচ
- ঘি ৩-৪ চামচ
- জিরে ½ চামচ
তৈরির পদ্ধতি – ধাপ বাই ধাপ
১. সাবুদানার সঠিক প্রস্তুতি
প্রথমে সাবুদানা ভালো করে ধুয়ে নিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জলে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা বা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, জল যেন শুধু সাবুদানার উপরে থাকে। ভেজার পরে সাবুদানা নরম হয়ে যাওয়া উচিত, এবং তাতে জল থাকা উচিত নয়।
২. ভাজার প্রস্তুতি
একটি কড়াইতে ঘি গরম করুন। এতে आधा চামচ জিরে দিন এবং সেটি ফুটতে দিন। তারপর চীনাবাদাম দিন এবং হালকা সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
৩. আলু এবং কাঁচালঙ্কার স্বাদ
এবার এতে সিদ্ধ আলু দিন এবং কম আঁচে হালকা ভাজুন। এরপর কুচি করা কাঁচালঙ্কা দিন এবং কয়েক সেকেন্ড নাড়াচাড়া করুন।
৪. সাবুদানা মেশানো
এবার ভিজানো সাবুদানা দিন। এর সাথে সৈন্ধব লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো এবং সামান্য চিনি দিন। সব উপকরণ ধীরে ধীরে মেশান, যাতে সাবুদানা ভেঙে না যায়।
৫. লেবুর রস এবং ধনে পাতার ছোঁয়া
২-৩ মিনিট কম আঁচে ভাজার পর গ্যাস বন্ধ করুন এবং উপরে লেবুর রস ও কুচি করা ধনে পাতা দিন। আপনার গরম গরম সাবুদানা খিচুড়ি তৈরি।
বিশেষ পরামর্শ ও টিপস
- সাবুদানা ভেজানো সঠিক হলে তবেই খিচুড়ি ভালো হবে। বেশি জল হলে এটি লেগে যাবে এবং খিচুড়ি চিটচিটে হয়ে যাবে।
- চীনাবাদাম ভাজার সময় খেয়াল রাখবেন, যেন পুড়ে না যায়। ভাজা চীনাবাদামের মুচমুচে ভাব খিচুড়িতে স্বাদ এবং গঠন উভয়ই যোগ করে।
- সৈন্ধব লবণ বিশেষ করে ব্রতে ব্যবহার করা হয়। সাধারণ দিনে আপনি সাধারণ লবণও ব্যবহার করতে পারেন।
- লেবুর রস খিচুড়িতে হালকা টক স্বাদ আনে, যা এর স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
উত্তর ভারত এবং ছত্তিশগড়ের ঐতিহ্যবাহী সাবুদানা খিচুড়ি শুধু সুস্বাদু নয়, ব্রতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিও সরবরাহ করে। সহজ পদ্ধতি, সীমিত উপকরণ এবং সাত্ত্বিক স্বাদের কারণে এটি সকলের ঘরে পছন্দ করা হয়। পরের বার যখন ব্রতের দিন আসবে বা হালকা খাবার খেতে ইচ্ছে করবে, তখন একবার এই বিশেষ ধরণের খিচুড়ি অবশ্যই বানিয়ে দেখুন।