কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে পিছিয়ে না থাকার উদ্দেশ্যে মেটা-র সিইও মার্ক জুকারবার্গ এখন সরাসরি ময়দানে নেমেছেন। কোম্পানির সুপারইনটেলিজেন্স ল্যাবকে বিশ্ব পর্যায়ে অগ্রণী করে তুলতে জুকারবার্গ বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্থানীয় এআই গবেষক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন এবং তাদের কোটি কোটি টাকার বেতনে মেটা-তে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। মেটা-র এই আগ্রাসী কৌশল ওপেনএআই, গুগল এবং অ্যানথ্রপিক-এর মতো বড় কোম্পানিগুলোকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জুকারবার্গ নিজেই কথা বলছেন
এআই-এর জগতে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার মিশনে নেমে মেটা-র সিইও মার্ক জুকারবার্গ এখন সরাসরি দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন। সাধারণত, কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা চাকরির প্রস্তাবের মতো বিষয়গুলি এইচআর টিমের উপর ছেড়ে দেন, কিন্তু জুকারবার্গ এই প্রথা ভেঙে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমেলের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নামকরা এআই গবেষক ও ডেভেলপারদের সঙ্গে নিজে যোগাযোগ করেছেন। তার এই অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপে অনেকেই অবাক হয়েছেন। এমনকি, প্রথম দিকে কয়েকজনের মনে হয়েছিল, এটি কোনো ভুয়া বার্তা বা স্ক্যাম কিনা!
এআই-তে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুম ভেঙেছে
এআই-এর দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার পর মেটা এখন পুরো উদ্যমে ময়দানে নেমেছে। যেখানে ওপেনএআই, গুগল এবং পারপ্লেক্সিটির মতো কোম্পানিগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেছে, সেখানে মেটা-র এআই এখন পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবে, কোম্পানি এখন এই ব্যবধান কমানোর জন্য আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে। মেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে শুধু বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবে না, বরং বিশ্বজুড়ে সেরা গবেষক এবং ডেভেলপারদের তাদের সুপারইনটেলিজেন্স টিমে অন্তর্ভুক্ত করে এআই-এর জগতে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন ঘটাবে।
সুপারইনটেলিজেন্স ল্যাবের জন্য শীর্ষস্থানীয় দলের অনুসন্ধান
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার পর মেটা এখন পূর্ণ শক্তিতে ময়দানে নেমেছে। সম্প্রতি কোম্পানি একটি বিশেষ সুপারইনটেলিজেন্স ল্যাবের ভিত্তি স্থাপন করেছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বয়ং মার্ক জুকারবার্গ। এই প্রকল্পের জন্য তিনি বিশ্বের সেরা এআই বিশেষজ্ঞদের সন্ধানে নেমেছেন। খবর অনুযায়ী, জুকারবার্গ ওপেনএআই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জন শুলম্যান এবং বিল পিবলস-এর মতো খ্যাতিমান গবেষকদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ মেটা-র প্রস্তাব গ্রহণ করেননি, তবে কোম্পানি পিছিয়ে না গিয়ে তাদের মিশনকে আরও আগ্রাসীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
টাকার অভাব নেই
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার পর মেটা এখন পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফিরতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোম্পানির সিইও মার্ক জুকারবার্গ নিজেই এই মিশনের দায়িত্বে রয়েছেন। খবর অনুযায়ী, জুকারবার্গ এআই-এর জগতের সেরা মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে অর্থের কোনো সীমা রাখছেন না। জানা গেছে, শীর্ষস্থানীয় প্রতিভাদের ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। মেটা মনে করে, যদি বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান এআই বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করা যায়, তাহলে কোম্পানি এই ক্ষেত্রে পুনরায় তাদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে।
নতুন মুখ দলের নেতৃত্ব দেবে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার পর মেটা এখন পূর্ণ শক্তিতে ময়দানে নেমেছে। সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে, কোম্পানি স্কেল এআই-এর সিইও-কে তাদের সুপারইনটেলিজেন্স ল্যাবের দায়িত্ব দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, মেটা এখন এআই নিয়ে কোনো ধরনের আপোস করতে রাজি নয়।
সরাসরি ময়দানে নেমে আসা সিইও মার্ক জুকারবার্গের এই আগ্রাসী কৌশলকে মেটা-র ভবিষ্যতের দিক পরিবর্তনের পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রযুক্তি বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই চাল সফল হয়, তাহলে মেটা আবারও প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে। জুকারবার্গের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। এআই-এর এই দৌড়ে মেটা এখন কোনো মূল্যে পিছিয়ে থাকতে চাইছে না।