হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় মুষলধারে বৃষ্টি ও মেঘ ভাঙার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কাংড়া জেলার মানুনি খাদে আসা বন্যায় এখন পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে এখনও দুই শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার তৃতীয় দিনে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনাস্থলে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ অবিরাম চলছে, তবে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ত্রাণকর্মীদের কাজে ক্রমাগত বাধা সৃষ্টি করছে।
এনডিআরএফ, স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের দল উদ্ধার অভিযানে নেমেছে, কিন্তু বৃষ্টির কারণে অনুসন্ধান অভিযান বারবার বন্ধ করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের নদী ও নালা থেকে দূরে থাকার আবেদন জানিয়েছে। একই সময়ে, আবহাওয়া দপ্তর আগামী দিনগুলোতে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে এবং প্রশাসন সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে প্রশাসন
ধরমশালায় লাগাতার বৃষ্টির পর বন্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বন্যার পর থেকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে প্রশাসন তৎপর হয়েছে। এএসপি অদিতি সিং জানিয়েছেন যে, অনুসন্ধান অভিযান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে। পাওয়ার প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত যে কর্মীদের জীবন বিপন্ন ছিল, তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ত্রাণ ও উদ্ধার কাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এসডিআরএফের দুটি দল এবং হোমগার্ডের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। কর্মকর্তারা ক্রমাগত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন এবং জানিয়েছেন যে, যতক্ষণ না নিখোঁজ সকলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, উদ্ধার অভিযান চলবে। বন্যা কবলিত এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে, যাতে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।
বৃষ্টি উদ্ধারকাজে বাধা
ধরমশালায় আকস্মিক বন্যায় পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর হয়ে উঠেছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে, কিন্তু খারাপ আবহাওয়া ত্রাণকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও কম দৃশ্যমানতার কারণে মৃতদেহটি নিচে নামানো সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত মোট ছয়টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, যেখানে এখনও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এএসপি অদিতি সিং জানিয়েছেন যে, লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে, যা ত্রাণ অভিযানকে প্রভাবিত করছে। যদিও, প্রশাসন অনুসন্ধান অভিযান জোরদার করেছে এবং পূর্ণ শক্তিতে নিখোঁজদের সন্ধান চালাচ্ছে। কর্মকর্তাদের মতে, আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করা হবে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।