প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অভিনয়-এ সজ্জিত হলিউড ফিল্ম ২ জুলাই তারিখে Amazon Prime-এ মুক্তি পেতে চলেছে। এই ফিল্মটি একটি আমেরিকান অ্যাকশন কমেডি, যা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।
বিনোদন: প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নতুন হলিউড ফিল্ম Heads of State-এর এক্স (পূর্বে Twitter) -এ দারুণ রিভিউ আসছে। ২ জুলাই Amazon Prime Video-তে মুক্তি পেতে চলা এই ফিল্মটির স্পেশাল স্ক্রিনিং হয়ে গেছে, যেখানে অনেক দর্শক অংশ নিয়েছেন এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। প্রিয়াঙ্কার অভিনয়, ফিল্মের অ্যাকশন এবং হালকা-ফুলকা কমেডি - এই সবকিছু মিলে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ফিল্মটির প্রাণ
স্পেশাল স্ক্রিনিং-এর পর একজন ইউজার লিখেছেন, “Heads of State-কে কেবল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস বাঁচিয়েছেন। জন সিনা এবং ইদ্রিস এলবাও ভালো কাজ করেছেন, তবে তাঁদের অবদান সীমিত ছিল। প্রিয়াঙ্কার স্ক্রিন প্রেজেন্স অসাধারণ।“ তেমনই আরেকজন দর্শক প্রিয়াঙ্কার অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, “প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পারফরম্যান্স পুরো ফিল্মে সবচেয়ে ভালো। তাঁর অভিনয় দেখে মনেই হয় না যে এটা কোনো সাইড রোল। তিনি প্রতিটি দৃশ্যে তাঁর ছাপ রেখেছেন।”
অ্যাকশন এবং কমেডির সেরা মিশ্রণ
ফিল্মের অ্যাকশন এবং কমেডিরও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর প্রশংসা হচ্ছে। একজন ইউজার লিখেছেন, “Heads of State একটি রোমাঞ্চকর যাত্রা। ফিল্মে ভরপুর অ্যাকশন রয়েছে, কিন্তু এর মাঝে মাঝে আসা কমেডির পঞ্চ গল্পটিকে আরও মজাদার করে তোলে। স্টান্ট সিকোয়েন্সগুলি দুর্দান্ত এবং ভিএফএক্সও অসাধারণ।”
আরেকজন ইউজার বলেছেন, “এই ফিল্ম একদম পপকর্ন এন্টারটেইনমেন্ট। জন সিনা এবং ইদ্রিস এলবার জুটি ফাটাফাটি। দুজনের রসায়ন দেখবার মতো। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও পুরো গল্পে প্রাণ এনে দিয়েছেন। এটা মিস করবেন না।”
গান এবং সিনেমাটোগ্রাফিরও প্রশংসা
ফিল্মের গান এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকেরও প্রশংসা করা হয়েছে। একজন ইউজার লিখেছেন, Heads of State-এর মিউজিক এবং গান গল্পের সাথে পুরোপুরি মানানসই। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর অ্যাকশন দৃশ্যে এনার্জি যোগ করে। এছাড়াও ফিল্মের ক্যামেরা ওয়ার্ক এবং লোকেশন নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। একজন দর্শক লিখেছেন, “ফিল্মের সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারণ। প্রতিটি ফ্রেমে হলিউডের বড় বাজেট এবং গ্ল্যামার ঝলকায়। গল্পটা যদিও একটু সাধারণ, তবে উপস্থাপনা চমৎকার।”
Heads of State-এর গল্প দুটি দেশের নেতাদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এতে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি এবং ইউকের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে চলা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং তাদের আশেপাশে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি দেখানো হয়েছে। ফিল্মে ইদ্রিস এলবা এবং জন সিনা মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন, যারা নিজ নিজ মিশনে ব্যস্ত থাকেন, কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয় যে, দু'জনকে একসঙ্গে আসতে হয়। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও এই মিশনের অংশ হন এবং তাঁর চরিত্র গল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়ে আসে। ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন ইলিয়া নাইশুলার, যিনি আগে Hardcore Henry এবং Nobody-র মতো দুর্দান্ত অ্যাকশন ফিল্মের জন্য পরিচিত।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ফ্যানদের জন্য এই ফিল্ম একটি উপহারের চেয়ে কম নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ তাঁর প্রশংসা করতে ক্লান্ত হচ্ছে না। একজন ইউজার লিখেছেন, “প্রিয়াঙ্কা গ্লোবাল স্টার, এবং এই ফিল্ম তাঁর কর্মজীবনে আরও একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ।”