দিল্লীর আমন বিহার থানা এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা ঘটেছে। দশম শ্রেণীর ছাত্র, ১৫ বছর বয়সী দীপাংশুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, সোনু এবং মনু নামের দুই যুবক দীপাংশুকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে পাঠায় এবং তারপর তার উপর এলোপাথাড়ি হামলা চালায়।
স্থানীয়দের মতে, দীপাংশুর উপর হঠাৎ করে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হামলার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর এলাকায় ভয় ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ মৃতের পরিবারের বয়ানের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে নেমেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুরনো শত্রুতাকে হত্যার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, যদিও পুলিশ অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলিও খতিয়ে দেখছে। এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গলির দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
দিল্লীর আমন বিহার এলাকায় দশম শ্রেণীর ছাত্র দীপাংশুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবার গলিতে বসবাসকারী দুই যুবক সোনু এবং মনুর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে। মৃতের বোনের বক্তব্য, দীপাংশুকে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। তাকে দুবার ছুরি মারা হয়েছিল, যার মধ্যে একটি আঘাত তার বুকের কাছে, হৃদয়ের কাছে করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, ঘটনার ঠিক আগে দীপাংশুকে ফোন আসে, এরপর সে বাড়ি থেকে নিচে নামে এবং হামলার শিকার হয়। মা জানান, অভিযুক্তরা গলিতেই তাদের মাসির বাড়িতে থাকে এবং তারা গলি থেকে ডেকে তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বর্তমানে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দীপাংশুকে ছুরিকাঘাত
দিল্লী রাজধানীর আমন বিহার এলাকায় দশম শ্রেণীর ছাত্র দীপাংশুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। মৃতের ভাইয়ের মতে, দীপাংশু আইটিআই কলেজ থেকে ফেরার পর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাড়িতে খাবার খাচ্ছিল। সেই সময় তাকে দুবার ফোন আসে। দ্বিতীয় কলের পর সে যেই নিচে নামে, অমনি গলিতে বসবাসকারী সোনু ও মনু নামের দুই ভাই তাকে ঘিরে ধরে এবং বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত দীপাংশুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
খবর পাওয়া মাত্র আমন বিহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ দল ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে, যাতে দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা যায়। ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।