ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে, বাড়িতেই নিম ফেসপ্যাক তৈরি করুন

ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে, বাড়িতেই নিম ফেসপ্যাক তৈরি করুন
সর্বশেষ আপডেট: 31-12-2024

ব্রণ এবং কালো দাগ দূর করতে, বাড়িতেই নিম ফেসপ্যাক তৈরি করুন, সহজ পদ্ধতি জেনে নিন To remove pimples and spots, make neem face pack at home know the way

এখানে প্রদত্ত বিষয়গুলি, মূলত উপাদানের পুনঃপ্রকাশ।

 

১. এমন একটি গাছ যার পাতা খাওয়া যায়, রস পান করা যায়, এবং যা ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়। আমরা কথা বলছি নিম গাছ নিয়ে। নিম একটি ঔষধি গুণ সম্পন্ন উদ্ভিদ, যা বহু রোগ নিরাময় করতে পারে। বহু শতাব্দী ধরে নিম ত্বকের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিমে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম, তার ঔষধি গুণের কারণে, ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করার মাধ্যমে ত্বকের সমস্যাগুলির একটি সহজ এবং কার্যকর সমাধান।

 

২. পরিষ্কার এবং সুন্দর ত্বকের জন্য, মানুষ বিভিন্ন উপায়ে নিম ব্যবহার করে। এর উপকারিতা বিবেচনা করে, বর্তমানে বাজারে ত্বকের যত্নের জন্য নিম-ভিত্তিক অনেক পণ্য পাওয়া যায়। আপনার যদি ব্রণ, ফুসকুড়ি বা পিগমেন্টেশনের মতো ত্বকের সমস্যা থাকে তবে নিম এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক। ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং কালো দাগ দূর করতে সহায়ক নিম ফেসপ্যাক সম্পর্কে এই নিবন্ধে আলোচনা করা হলো।

 

৩. **নিম এবং বেসন ফেসপ্যাক**

ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে আপনি এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি শুধু ব্রণ দূর করে না, কালো দাগও কমায় এবং আপনার মুখে উজ্জ্বলতা আনে। এই মাস্কটি তৈরি করতে, একটি পাত্রে এক চামচ বেসন, এক চামচ নিম পাউডার এবং সামান্য দই মেশান। এই উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান। তবে মাস্ক লাগানোর আগে, আপনার মুখ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর মাস্কটি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে দুইবার লাগান।

 

৪. **নিম এবং পেঁপে ফেসপ্যাক**

(i) এর জন্য, আধা কাপ ভালোভাবে চটকানো পাকা পেঁপে এবং ৭-৮টি নিম পাতা নিন।

(ii) নিম পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে, চটকানো পেঁপের সাথে মিশিয়ে নিন।

(iii) তারপর এই পেস্টটি পুরো মুখে লাগান।

(iv) কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে, তারপর শুকাতে দিন। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৫. **নিম এবং হলুদ ফেসপ্যাক**

নিম এবং হলুদ একসাথে, শুষ্ক ত্বককে ব্রণ থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এই ফেসপ্যাকের জন্য ২ চামচ নিম পেস্ট, ৩-৪ চিমটি হলুদ গুঁড়ো এবং ২ চামচ থেঁতো করা ক্রিম নিন। ইচ্ছানুসারে, প্রয়োজনে কয়েক ফোঁটা জল মেশানো যেতে পারে। আপনার ত্বক তৈলাক্ত হলে ক্রিম যোগ করবেন না। এই মাস্কটি মুখে ১০ মিনিট রেখে, তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পরে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

 

৬. **নিম এবং অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক**

নিমের মতোই অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই ফেসপ্যাক ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি তৈরি করতে, একটি পাত্রে এক চামচ নিম পাউডার এবং দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান। প্রথমে মুখে গোলাপ জল স্প্রে করে, তারপর এই মিশ্রণটি দিয়ে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 

৭. **শসা এবং নিম ফেসপ্যাক**

(i) এর জন্য, আধা কাপ গ্রেট করা শসা, ১ চামচ চূর্ণ করা নিম পাতা এবং ১ চামচ আর্গান তেল নিন।

(ii) একটি পাত্রে সমস্ত উপাদান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

(iii) এই পেস্টটি আপনার আঙুল দিয়ে আপনার মুখে লাগান।

(iv) এটি শুকাতে দিন।

(v) তারপর ২০-৩০ মিনিট পর এটি ধুয়ে ফেলুন।

 

৮. **নিম এবং তুলসী ফেসপ্যাক**

 

নিমের সাথে তুলসীরও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম এবং তুলসী দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক, কালো দাগ এবং ব্রণ দূর করে, ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল করে তোলে। এই প্যাকটি তৈরি করতে, এক মুঠো তুলসী পাতা এবং নিম পাতা নিন। এটি সারাদিন রোদে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে, সেগুলি গুঁড়ো করে নিন। এখন, একটি পাত্রে ১ চামচ মধু (যদি আপনার ত্বক শুষ্ক বা স্বাভাবিক হয়), ১ চামচ চন্দন গুঁড়ো বা মুলতানি মাটি (যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়) যোগ করুন। এতে নিম এবং তুলসী পাতার গুঁড়ো যোগ করুন, কয়েক ফোঁটা জল দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে, হালকাভাবে বৃত্তাকার গতিতে স্ক্রাব করে, তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 

৯. **নিম এবং লেবুর ফেস মাস্ক**

নিম এবং লেবু উভয়েরই ঔষধি গুণ রয়েছে, যা ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুবই কার্যকর। এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে, কিছু নিম পাতা নিয়ে বেটে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এর পরিবর্তে আপনি নিম পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন। এখন এই পেস্টে একটি লেবুর রস মেশান। এই পেস্টটি মুখ এবং ঘাড়ে প্রায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে, তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

 

দ্রষ্টব্য: উপরে দেওয়া সমস্ত তথ্য সাধারণভাবে উপলব্ধ তথ্য এবং সামাজিক বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। subkuz.com এর নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে না। কোনো রেসিপি ব্যবহারের আগে subkuz.com বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা ভালো।

```

Leave a comment