আগ্রায় ঠান্ডায় জমে কৃষকদের বিক্ষোভ, ১৫ বছর ধরে ক্ষতিপূরণের দাবি

আগ্রায় ঠান্ডায় জমে কৃষকদের বিক্ষোভ, ১৫ বছর ধরে ক্ষতিপূরণের দাবি
সর্বশেষ আপডেট: 31-12-2024

ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া আগ্রাতে কৃষকদের বিক্ষোভ, ১৫ বছর ধরে জমির ক্ষতিপূরণের দাবি, তবুও কোনো সমাধান নেই। সোমবার দুপুরে কৃষকরা আগ্রা ইনার রিং রোড অবরোধ করেন।

আগ্রা: আগ্রাতে কনকনে ঠান্ডা সত্ত্বেও কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অত্যাচার এবং রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় অতিষ্ঠ হয়ে কৃষকরা সোমবার দুপুর ৩টায় আগ্রা ইনার রিং রোড অবরোধ করেন। কৃষকদের অভিযোগ, তারা ১৫ বছর ধরে তাদের জমির ক্ষতিপূরণ চেয়ে আসছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। এই রাস্তাটি আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, যার কারণে হাজার হাজার যাত্রী যানজটে আটকে পড়েছিলেন।

মহিলা ও শিশুদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

এই কৃষক আন্দোলনে মহিলা ও শিশুরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল। হাতে লাঠি নিয়ে তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও স্লোগান দেয়। আন্দোলনকারীরা রাস্তায় শুয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাথে দেখা করার বা তাদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন। এই আন্দোলনের কারণে উভয় এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত ছিল।

কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবি

২০০৯-১০ সালে আগ্রা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রায়পুর, রাহানকলাঁ এবং ইটমাদপুর মাদ্রার মতো বেশ কয়েকটি গ্রামে ৪৪৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করেছিল, কিন্তু কৃষকরা ক্ষতিপূরণ হিসাবে এক টাকাও পাননি। এর ফলে কৃষকরা আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেন। বিধায়ক এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন যে সরকার বিষয়টি বিবেচনা করছে, কিন্তু এই বিবেচনা এখনও পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।

প্রশাসন কর্তৃক আলোচনার আশ্বাস

সোমবারও কৃষকরা আন্দোলনের স্থানেই ছিলেন। প্রশাসন কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছিল যে তাদের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করানো হবে, কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কৃষকদের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা করা হয়। সন্ধ্যায় দেরিতে, ডিএম অরবিন্দ মাল্লাপ্পা বাঙ্গারি কৃষকদের সাথে আলোচনা করেন, তারপরে কৃষকরা একটি লেন খালি করতে রাজি হন।

ডিএম-এর নিশ্চিতকরণ: সরকার স্তরে সিদ্ধান্ত সম্ভব

ডিএম জানান, এডিএ ১৪ই আগস্ট কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার জন্য সরকারকে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল, তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র সরকার পর্যায়েই নেওয়া সম্ভব। কৃষকদের বক্তব্য, যতক্ষণ না জমি ফেরত পাচ্ছেন, ততক্ষণ তারা রাস্তায় বসেই থাকবেন এবং পিছপা হবেন না।

কৃষকদের অসন্তোষপূর্ণ প্রতিক্রিয়া

কৃষকদের ক্ষোভ বাড়ছে এবং তারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় না থাকলে তারা তাদের অধিকারের জন্য রাস্তায় লড়াই চালিয়ে যাবেন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে, এই আন্দোলন সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

```

Leave a comment