ইলাহাবাদ হাইকোর্ট লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে এটিকে ভারতীয় মধ্যবিত্ত সমাজের ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে। আদালত এই মন্তব্যটি করেছে যখন তারা বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে অভিযুক্ত শানে আলমকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়।
শানে আলমের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়বিচার সংহিতা এবং পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরে তা অস্বীকার করেন। আদালতে, অভিযোগকারীর আইনজীবী স্পষ্টভাবে এটিকে যৌন শোষণের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। অভিযুক্ত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলে ছিলেন এবং তার কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই।
লিভ-ইন-এর ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে আদালতের উদ্বেগ
বিচারপতি সিদ্ধার্থের বেঞ্চ বলেছেন যে সুপ্রিম কোর্ট লিভ-ইন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার পরে, এই ধরনের মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আদালত মনে করে যে এটি একটি সামাজিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যুবকদের কাছে এই সম্পর্ক আকর্ষণীয় মনে হতে পারে, তবে এর সামাজিক এবং আইনি পরিণতি অত্যন্ত গুরুতর।
আদালত লিভ-ইন সম্পর্কের ধারণাটিকে ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে যে এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হন মহিলারা। তাদের কেবল আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না, বরং সমাজে তাদের অপমান ও নিরাপত্তাহীনতার শিকার হতে হয়।
সামাজিক চিন্তাভাবনার ওপর প্রশ্ন
আদালতের এই মন্তব্যে লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একদিকে যেখানে আইন এই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয়, সেখানে সমাজের একটি বড় অংশ এখনও এটিকে গ্রহণ করতে পারেনি। আদালতের এই রায়টি কেবল লিভ-ইন সম্পর্কের সামাজিক প্রভাবের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে না, বরং এটিও ইঙ্গিত করে যে ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও সুস্পষ্ট আইন বা নির্দেশিকা আসতে পারে।