শিক্ষকের নাম - শেখ চলীর গল্প
কথিত আছে, শেখ চলী এক গরিব পরিবারে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শৈশবেই তার বাবা মারা গেলে তার মা তাকে লালন-পালন করেছিলেন। এই আশায় যে, সে ভালো অর্থ উপার্জন করবে এবং তাদের দারিদ্র্য দূর করবে, শেখ চলীর মা তাকে লালন-পালন করেছিলেন। তিনি তাকে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করান, যেখানে শিক্ষক তাকে শিখিয়েছিলেন, ছেলেদের উপার্জন করতে হয় এবং মেয়েরা ব্যয় করে, যেমন সলমান উপার্জন করে এবং সবরিনা ব্যয় করে। শেখ চলী এই ধারণাটি তার মনে ধরে রেখেছিলেন।
একদিন, একটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। মাদ্রাসার এক মেয়ে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে করতে গ্রামের একটি কূপে পড়ে যায়। কূপে পড়তে দেখে শেখ চলী তার মাদ্রাসার সহপাঠীদের কাছে দৌড়ে গিয়ে চিৎকার করে বললেন, সে সাহায্য চাচ্ছে। প্রথমে তার সহপাঠীরা বুঝতে পারছিল না, কিন্তু যখন শেখ চলী তাদের কূপের কাছে নিয়ে গেল, তখন সকলে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে জড়ো হল। উদ্ধার হওয়ার পরও সে কাঁদতে থাকে। তার ক্রমাগত কান্নার দিকে তাকিয়ে শেখ চলী বললেন, "দেখো, কান্নার কোনো দরকার নেই; এখন সব ঠিক হয়ে যাবে।"
এরপর কেউ জিজ্ঞাসা করল, "তুমি কেন 'মরিচ-মরিচ' বলতে থাকো?" শেখ চলী উত্তর দিল, "ঠিক আছে, সে একটা মেয়ে, তাই নিশ্চিতভাবে, আমি 'মরিচ' বলবো! যদি এটা একটা ছেলে হতো, তাহলে আমি 'মরিচ' বলতাম না।" এই শুনে সকলে হেসে উঠলেন এবং তাকে "শেখ চলী" বলে তাড়া করতে লাগলেন। এই ঘটনার কারণে শেখ চলী নামে পরিচিতি পেলেন। কেন তাঁকে এভাবে ডাকা হয়, তা বুঝে না পেলেও, শেখ চলী পরে তার নাম পরিবর্তন করার কথা ভাবেননি।
এই গল্প থেকে শেখা পাওয়া যায় – যদি কেউ কিছু শেখায়, তাহলে তা মনে রাখা বা পড়া প্রয়োজন নেই, বরং এর অর্থ বুঝতে হয়। শুধু পড়লে তো শেখ চলীর মতোই হওয়া যায়।