মহিলা মুখ হাতি: একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প

🎧 Listen in Audio
0:00

একটি মহিলা মুখ হাতির গল্প। জনপ্রিয় গল্প পড়ুন subkuz.com এ!

প্রখ্যাত ও অনুপ্রেরণামূলক গল্প, মহিলা মুখ হাতি

অনেক আগের কথা, রাজা চন্দ্রসেনের অশ্বশালায় একটা হাতি থাকত। তার নাম ছিল মহিলা মুখ। মহিলা মুখ ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমান, আনুগত্যশীল ও দয়ালু। সেই রাজ্যের সকলেই মহিলা মুখকে নিয়ে খুব খুশি থাকত। রাজাও মহিলা মুখের উপর অত্যন্ত গর্বিত ছিলেন। কিছুদিন পর মহিলা মুখের অশ্বশালার বাইরে চোরেরা তাদের আস্তানা তৈরি করে ফেলল। চোরেরা দিনের বেলায় লুটপাট ও মারধর করত এবং রাতে তাদের আস্তানায় ফিরে তাদের বীরত্বের বর্ণনা দিত। চোরেরা প্রায়ই পরের দিনের পরিকল্পনাও করত কাকে ও কীভাবে লুটপাট করবে। তাদের কথা শুনে মনে হত সকলেই খুবই বিপজ্জনক চোর। মহিলা মুখ হাতি তাদের কথা শুনতে থাকত।

কিছুদিন পর মহিলা মুখের উপর চোরদের কথার প্রভাব পড়তে লাগল। মহিলা মুখের মনে হতে লাগল অন্যের উপর অত্যাচার করা-ই সত্যিকারের বীরত্ব। তাই, মহিলা মুখ ঠিক করল সেও চোরদের মতো অত্যাচার করবে। প্রথমে মহিলা মুখ তার মহৌতের উপর আক্রমণ করল এবং মারধর করে মহৌতকে হত্যা করল। এত ভাল হাতির এমন কাজ দেখে সকলেই দুঃখিত হল। মহিলা মুখ আর কারও নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। রাজাও মহিলা মুখের এই রূপ দেখে চিন্তিত হচ্ছিলেন। তারপর রাজা মহিলা মুখের জন্য নতুন মহৌত ডাকল। সেই মহৌতকেও মহিলা মুখ হত্যা করল। এভাবে পাগল হাতি চারজন মহৌতকে পিষে মেরে ফেলল।

মহিলা মুখের এই আচরণের পিছনে কারণ কেউ বুঝতে পারছিল না। যখন রাজা কোনো উপায় বের করতে পারলেন না, তখন তিনি মহিলা মুখের চিকিৎসার জন্য একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে নিযুক্ত করলেন। রাজা ব্যক্তিটিকে অনুরোধ করলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহিলা মুখের চিকিৎসা করতে, যাতে সে রাজ্যে ধ্বংসের কারণ না হয়। ব্যক্তিটি রাজার কথা গুরুত্বের সাথে নিলেন এবং মহিলা মুখের কঠোর নজরদারি শুরু করলেন। শীঘ্রই ব্যক্তিটি বুঝতে পারলেন মহিলা মুখের এই পরিবর্তন চোরদের কারণে হয়েছে। ব্যক্তিটি রাজাকে মহিলা মুখের আচরণের পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে বললেন চোরদের আস্তানার কাছে নিয়মিত ধর্মীয় সভা করার ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে মহিলা মুখের আচরণ আগের মতো হতে পারে।

রাজা তাই করলেন। এখন অশ্বশালার বাইরে প্রতিদিন ধর্মীয় সভার ব্যবস্থা হতে লাগল। ধীরে ধীরে মহিলা মুখের মানসিক অবস্থা ভালো হতে লাগল। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে মহিলা মুখ হাতি আগের মতো উদার ও দয়ালু হয়ে উঠল। তার প্রিয় হাতির সুস্থ হওয়ায় রাজা চন্দ্রসেন অত্যন্ত খুশি হলেন। চন্দ্রসেন তার সভায় ব্যক্তিটির প্রশংসা করলেন এবং তাকে অনেক উপহারও দিলেন।

এই গল্প থেকে আমরা শিক্ষা পাই - সঙ্গের প্রভাব খুব দ্রুত ও গভীর হয়। তাই, আমাদের সবসময় ভালো মানুষের সঙ্গে থাকা উচিত এবং সবার সাথে ভালো ব্যবহার করা উচিত।

বন্ধুরা, subkuz.com এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমরা ভারত এবং বিশ্বের সাথে সম্পর্কিত সকল ধরণের গল্প ও তথ্য সরবরাহ করে থাকি। আমাদের চেষ্টা হলো এই ধরনের আকর্ষণীয় ও অনুপ্রেরণামূলক গল্প সহজ ভাষায় আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই ধরনের অনুপ্রেরণামূলক গল্পের জন্য পড়তে থাকুন subkuz.com

Leave a comment