বলুচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে শত শত যাত্রীকে জিম্মি করেছে। গুলিবর্ষণে অনেকে আহত, সেনাবাহিনীর উপর হামলা। সামরিক অভিযান চালালে জিম্মীদের হত্যার হুমকি।
পাকিস্তান ট্রেন অপহরণ: পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করেছে। সন্ত্রাসবাদীরা ট্রেনে থাকা শত শত যাত্রীকে জিম্মি করেছে এবং এই হামলার দায়িত্ব নিজেরাই স্বীকার করেছে। বিএলএ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি প্রকাশ করে এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
রেললাইন উড়িয়ে ট্রেনকে থামানো হয়েছে
এই ঘটনাটি ঘটেছে যখন জাফর এক্সপ্রেস কুয়েতা থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিল। সন্ত্রাসবাদীরা বেলুচিস্তানের মাশকফ, ধাদর এবং বোলান এলাকায় রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেয়। এরপর সন্ত্রাসবাদীরা ট্রেনটি দখল করে নেয়।
'সামরিক অভিযান চালালে জিম্মীদের হত্যা করা হবে'
বিএলএ পাকিস্তান সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে হুমকি দিয়ে বলেছে যে, যদি কোন সামরিক অভিযান চালানো হয়, তাহলে সকল জিম্মীকে হত্যা করা হবে। সন্ত্রাসবাদীরা এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে হামলার পরিণাম ভোগ করার জন্য সতর্ক করেছে।
৬ পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু
বিএলএ-র দাবি, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। তারা দাবি করেছে যে, মাজিদ ব্রিগেড, এসটিওএস এবং ফতেহ স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে এই অপারেশনটি সম্পন্ন হয়েছে। যদি সেনাবাহিনী প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়, তাহলে আরও ক্ষতি হবে।
গুলিবর্ষণে ট্রেন চালক ও যাত্রী আহত
পাকিস্তানি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা ট্রেনে ভারী গুলিবর্ষণ করেছে, যাতে ট্রেনের চালক আহত হয়েছে। এছাড়াও, কিছু যাত্রীও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বলা হচ্ছে, ট্রেনের ৯টি কামরায় প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন।
নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা ঘেরাও করেছে
হামলার পর পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী সমগ্র এলাকা ঘেরাও করে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জাফর এক্সপ্রেসে গুলিবর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, আহতদের চিকিৎসার জন্য সিবি হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স এবং নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রেলওয়ে নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ কাসিফ জানিয়েছেন, যাত্রী ও ট্রেন কর্মীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
