মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক ভৈরো সিংহ পরিহারের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তিনি মঞ্চ থেকে আরএসএস-এর সাথে তার সম্পর্ক স্বীকার করছেন। কংগ্রেসে তীব্র আন্দোলন।
MP News: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক ভৈরো সিংহ পরিহারের একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তিনি খোলাখুলিভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সাথে তার সম্পর্ক স্বীকার করছেন। কংগ্রেস নেতৃত্ব বারবার আরএসএস-এর আদর্শের সমালোচনা করে আসছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই বক্তব্য আরও চমকপ্রদ। আসুন জেনে নেই পুরো ঘটনা।
কংগ্রেস বিধায়কের ভাইরাল বক্তব্য
মধ্যপ্রদেশের সুনসের আসনের কংগ্রেস বিধায়ক ভৈরো সিংহ পরিহার তার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন আলোচনায় রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তিনি জনসমক্ষে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর প্রশংসা করছেন এবং নিজেকে তার সাথে যুক্ত বলে দাবি করছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “কংগ্রেসের বিধায়ক হলেও আমি সংঘের সাথে যুক্ত।”
কখন এবং কোথায় বক্তব্য দিয়েছিলেন?
এই ভিডিওটি আগর-মালওয়া অঞ্চলে অনুষ্ঠিত একটি জনসাধারণের অনুষ্ঠানের, যেখানে বিধায়ক ভৈরো সিংহ পরিহার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। যখন তাকে মঞ্চে দু'এক কথা বলার জন্য ডাকা হয়, তখন তিনি তার বক্তব্যের শুরু করেন আরএসএস-এর প্রশংসা করে।
তিনি বলেছেন, “রাষ্ট্রীয় সভাপতি মহোদয় এবং আপনারা সকলে যারা এখানে বসে আছেন, আপনারাও ভাববেন যে আপনারা কংগ্রেসের নেতা নন কারণ আপনারা সংঘের সাথে যুক্ত। আমি আপনাদের সম্মান করি। সংঘের সাথে আমিও যুক্ত। কংগ্রেসী হলেও সংঘের অনেক কর্মকর্তার সাথে আমার পরিচয় আছে এবং সংঘের জন্য আমি এত কাজ করেছি।”
সংঘের সাথে সম্পর্কের খোলাখুলি স্বীকারোক্তি
পরিহার তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন যে সংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তার ভালো পরিচিত এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে যুক্ত। এটাও দাবি করা হয়েছে যে তিনি বহুবার সংঘের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন।
তার মতে, “আমি দুই বছর আগেও একটি রাজনৈতিক বিরোধে আপোষ করিয়েছিলাম, যখন গড়োঠ আসনের বিধায়ককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে আমি বিষয়টি সমাধান করেছিলাম।”
কংগ্রেসে রাজনৈতিক হইচই
পরিহারের এই বক্তব্যের ফলে কংগ্রেস দলে অভ্যন্তরীণ আন্দোলন শুরু হয়েছে। দলের অনেক নেতা এ ব্যাপারে অস্বস্তি বোধ করছেন, বিশেষ করে যখন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নিজেই জনসম্মুখে আরএসএস-এর আদর্শকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলে আসছেন।
রাঁহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের অনেক উচ্চপদস্থ নেতা বারবার সংঘকে দেশের বহুমুখী বুনিয়াদের জন্য হুমকি বলে আখ্যায়িত করে আসছেন। কিন্তু এখন যখন কংগ্রেসের একজন বিধায়ক নিজেই সংঘের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ করেছেন, তখন তা দলের আদর্শ এবং শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তুলে ধরে।