ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল নিয়ে লোকসভায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর অনুপস্থিতিতে IUML-এর ক্ষোভ। কেরলের জেম-ইয়াতুল উলামা একে কালো দাগ বলে অভিহিত করেছে। কংগ্রেস সাংসদ নাসির হুসেন বিলটিকে অসংবিধানিক ও অন্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ওয়াক্ফ বিল: ২০২৫ সালের ওয়াক্ফ সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। ওয়ায়ানাড থেকে সাংসদ ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর লোকসভায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিলের আলোচনাকালীন অনুপস্থিতি ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (IUML)-কে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। কেরলের প্রধান ধর্মীয় সংস্থা সমস্ত কেরল জেম-ইয়াতুল উলামার মুখপাত্র "সুপ্রভাতম" প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর অনুপস্থিতিকে "কালো দাগ" বলে অভিহিত করে প্রশ্ন তুলেছে যে, যখন সরকারি দল বিজেপি এই বিল আনায়, তখন প্রিয়ঙ্কা কোথায় ছিলেন।
রাহুল গান্ধীর নীরবতা নিয়েও সমালোচনা
"সুপ্রভাতম"-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে রাহুল গান্ধীর নীরবতা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, বিরোধীদের দায়িত্ব ছিল এই সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে সংসদে স্পষ্টভাবে কথা বলা। তবে প্রবন্ধে এটাও স্বীকার করা হয়েছে যে, ভারতীয় গণতান্ত্রিক জোটের অধীনে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বাম দলগুলি এই বিলের বিরোধিতা করেছে, কিন্তু শীর্ষ নেতাদের সক্রিয়তার ওপর প্রশ্ন থেকেই গেছে।
বিরোধীদের প্রতিবাদ, কংগ্রেস সাংসদ অসংবিধানিক বলে অভিহিত
রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন এই বিলটিকে অসংবিধানিক ও অন্যায় বলে অভিহিত করে বলেছেন, "এটি একটি সংবিধানগত সমস্যা। এটি লক্ষ্যভেদী বিল, যার উদ্দেশ্য একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সম্পত্তিকে লক্ষ্য করা। সরকার সব আপত্তি উপেক্ষা করে এটি পাস করে দিয়েছে।" তিনি জানিয়েছেন যে, দুটি সদনে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু সরকার এক ইঞ্চিও নড়েনি।
কী ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫?
এই বিলের উদ্দেশ্য ১৯৯৫ সালের ওয়াক্ফ আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা যাতে ওয়াক্ফ সম্পত্তির নিবন্ধন, ব্যবস্থাপনা ও তদারকি স্বচ্ছ করা যায়। সরকারের দাবি, এতে ওয়াক্ফ বোর্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রযুক্তিগত সুবিধার সাহায্যে সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে।
