১৭ ফেব্রুয়ারি: নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে মোদী-রাহুল-মেঘওয়ালের বৈঠক

১৭ ফেব্রুয়ারি: নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে মোদী-রাহুল-মেঘওয়ালের বৈঠক
সর্বশেষ আপডেট: 15-02-2025

রাজীব কুমারের পদত্যাগের পর, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী, রাহুল গান্ধী এবং অর্জুন মেঘওয়ালের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার: আইন মন্ত্রণালয় ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটির বৈঠক ডেকেছে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অংশগ্রহণ করবেন। এই বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের कार्यकाल ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ শেষ হচ্ছে।

রাজীব কুমারের নিয়োগ এবং পদ

মে ২০২২-এ রাজীব কুমারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে সফলভাবে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। এছাড়াও, জম্মু ও কাশ্মীরে এক দশকেরও বেশি সময় পর শান্তিপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনও তার আমলে অনুষ্ঠিত হয়।

রাজীব কুমারের সাফল্য এবং নির্বাচন পরিচালনা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব কুমার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের পর, এ বছর মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এবং দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা তার নেতৃত্বের যোগ্যতা প্রমাণ করে।

রাজীব কুমারের অবসর পরিকল্পনা

জানুয়ারী ২০২৫-এ দিল্লি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার সময় রাজীব কুমার তার অবসর পরিকল্পনার কথাও বলেছিলেন। তিনি রসিকতার সুরে বলেছিলেন যে ১৩-১৪ বছর কাজ করার কারণে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সময় পাননি। এখন, অবসরের পর তিনি হিমালয়ে ভ্রমণে যাবেন, যেখানে চার থেকে পাঁচ মাস একাকী ধ্যান করবেন।

নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

রাজীব কুমারের कार्यकाल শেষ হওয়ার পর, নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রধানের নিয়োগের জন্য এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার আওতায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ, কর্মসংস্থানের শর্তাবলী এবং পদের মেয়াদ) আইন, ২০২৩-এর বিধি প্রথমবারের মতো কার্যকর করা হচ্ছে, যা এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করবে।

Leave a comment