দারভঙ্গায় হোলি-জুমার নামাজ নিয়ে তীব্র বিতর্ক

🎧 Listen in Audio
0:00

বিহারের দারভঙ্গায় হোলি এবং জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। মেয়র আঞ্জুম আরার হোলির দিন দুই ঘণ্টার বিরতি নেওয়ার আবেদনের পর এবার বিজেপি বিধায়ক মুরারী মোহন ঝা পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, হোলি বন্ধ হবে না, বরং মুসলমানদের উচিত বাড়িতেই নামাজ আদায় করা অথবা দুই ঘণ্টা পর মসজিদে যাওয়া।

দারভঙ্গা: বিহারের দারভঙ্গায় হোলি এবং জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মেয়র আঞ্জুম আরা উৎসবের সময় দুই ঘণ্টার বিরতি নেওয়ার আবেদন করেছেন, যাতে এই সময় জুমার নামাজ শান্তিপূর্ণভাবে আদায় করা যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি বিধায়ক মুরারী মোহন ঝা বলেছেন, হোলি বন্ধ হবে না, বরং মুসলমানদের বাড়িতেই নামাজ পড়া উচিত অথবা দুই ঘণ্টা পর মসজিদে যাওয়া উচিত। এই বক্তব্যের ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে প্রশাসন শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

মেয়র আঞ্জুম আরা কী বলেছিলেন?

দারভঙ্গার মেয়র আঞ্জুম আরা জেলা শান্তি কমিটির বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন যে হোলির সময় দুপুর ১২:৩০ থেকে ২:০০ টার মধ্যে বিরতি নেওয়া উচিত, যাতে এই সময় জুমার নামাজ শান্তিপূর্ণভাবে আদায় করা যায়। তিনি বলেছিলেন, সমাজে কিছু অসামাজিক উপাদান আছে, যারা পরিবেশ নষ্ট করতে পারে, তাই সাবধানতা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

বিজেপি বিধায়কের পাল্টা জবাব – ‘হোলি বন্ধ হবে না’

বিজেপি বিধায়ক মুরারী মোহন ঝা মেয়র আঞ্জুম আরার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, "হোলি বছরে একবার আসে, কিন্তু জুমার নামাজ প্রতি সপ্তাহে হয়। এই অবস্থায় উৎসব বন্ধ করার কথা বলা ঠিক নয়। মুসলমানরা যদি চান তাহলে বাড়িতেই নামাজ পড়তে পারেন অথবা দুই ঘণ্টা পর মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন।"

রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক বৃদ্ধি

এই বক্তব্যের পর দারভঙ্গায় রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। কেউ কেউ মেয়র আঞ্জুম আরার আবেদনকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্যোগ মনে করছেন, অন্যদিকে অনেকের মতে উৎসবের সময় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়।

প্রশাসন সতর্ক, শান্তি বজায় রাখার আবেদন

বিতর্ক বাড়তে দেখে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক হয়ে উঠেছে। কর্মকর্তারা মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন। পুলিশের বক্তব্য, যে কেউ ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a comment