বিখ্যাত ইউটিউবার শ্যাম মীরা সিংহ আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এবার ঘটনা সরাসরি আধ্যাত্মিক গুরু সদগুরু এবং তাঁর ঈশা ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত। জয়পুরের নাহরগড় থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়পুরে সদগুরুর সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ইউটিউবার শ্যাম মীরা সিংহের বিরুদ্ধে জয়পুরের নাহরগড় থানায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানোর মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি এক ভিডিওতে সদগুরুর ঈশা ফাউন্ডেশনের সাথে সম্পর্কিত দীক্ষা অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, যা সমর্থকরা ভুয়া বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়পুরে বিক্ষোভ তীব্রতর হয়েছে, অন্যদিকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং সাইবার সেলকেও তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ বিতর্ক কী?
শ্যাম মীরা সিংহ সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি ঈশা ফাউন্ডেশনের দীক্ষা অনুষ্ঠান নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন। তিনি ভিডিওতে কিছু ইমেলের স্ক্রিনশট দেখিয়ে অভিযোগ করেছিলেন যে আশ্রমে দীক্ষার নামে অনুচিত কার্যকলাপ চলে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গেছে। সদগুরুর সমর্থকরা এটিকে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে দাবি করেছেন এবং একে কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন।
অভিযোগকারী গুরুতর অভিযোগ আনেন
জয়পুরের চাঁদপোল বাজারের বাসিন্দা ধনঞ্জয় ফতেহপুরিয়া নাহরগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে শ্যাম মীরা সিংহ মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং সমাজে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, সাইবার সেল তদন্তে যুক্ত
এই মামলায় পুলিশ তদন্তে ত্বরাণ্বিত হয়েছে। সূত্র মতে, সাইবার সেলকেও তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে যাতে জানা যায় ভিডিওতে দেখানো ইমেলগুলি আসল কিনা নাকি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তা তৈরি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি প্রথমবার নয় যখন শ্যাম মীরা সিংহ কোনও আইনী জটিলে জড়িয়ে পড়েছেন। এর আগে ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমও তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন।
জয়পুরে বিক্ষোভ বৃদ্ধি, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?
এই সম্পূর্ণ বিতর্কের মধ্যে জয়পুরে সদগুরুর সমর্থকরা শ্যাম মীরা সিংহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। অনেক সংগঠনও এই বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পুলিশের মতে, মামলার গভীর তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা যেতে পারে। এখন দেখার বিষয় এই বিতর্ক কোন দিকে যায়।