বিহার বিধানসভা ভোজ্য অনুষ্ঠান: ৬০০০ টাকা প্রতি প্লেটের অভিযোগের পাল্টা জবাব

🎧 Listen in Audio
0:00

বিহার বিধানসভা ভবনের শতবর্ষীয় উৎসবের আয়োজিত ভোজ্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। রাজদ ৬০০০ টাকা প্রতি প্লেট খরচের দাবি করেছে, যার জবাবে উপমুখ্যমন্ত্রী তালিকা দেখিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেছেন।

Bihar Politics: বিহারে ভোজ্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। রাজদ বিধানসভা ভবনের শতবর্ষীয় উৎসবের সময় আয়োজিত ভোজ্য অনুষ্ঠানে প্রতি প্লেট ৬০০০ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে দাবি করেছে। এর জবাবে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিংহ রাজদ ও বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের উপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে প্রমাণাদি উপস্থাপন করে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

রাজদ-এর ৬০০০ টাকা প্রতি প্লেট ব্যয়ের অভিযোগ

বিহার বিধানসভার শতবর্ষীয় উৎসবে ১২ জুলাই ২০২২-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের উপলক্ষে আয়োজিত ভোজ্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজদ একটি বড় অভিযোগ এনেছে। দলটি দাবি করেছে যে, ভোজ্য অনুষ্ঠানে প্রতি প্লেট ৬০০০ টাকা ব্যয় হয়েছে। এই দাবির পর রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়ে গেছে এবং বিরোধীরা এটিকে দুর্নীতি হিসেবে চিত্রিত করতে শুরু করেছে।

উপমুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন

এই বিষয়ে স্পষ্টতা আনতে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিংহ নথিপত্র প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভোজ্য অনুষ্ঠানে প্রতি প্লেট মাত্র ৫২৫ টাকা (অতিরিক্ত জিএসটি সহ) ব্যয় হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিধানসভা সচিবালয় ১৭ আগস্ট ২০২২-তে এই ব্যয়ের তথ্য মহালেখাপালকে জানিয়েছে।

ভোজ্য অনুষ্ঠান সংক্রান্ত প্রধান তথ্য

তারিখ: ১২ জুলাই ২০২২
মোট আমন্ত্রিত ব্যক্তি: ১৭৯১
প্রতি প্লেট খাবারের খরচ: ৫২৫ টাকা (অতিরিক্ত জিএসটি সহ)
মোট ব্যয়: ৯,৮৭,২৮৯ টাকা
কেটারার: বুদ্ধ কলোনিস্থিত একটি কেটারিং পরিষেবা

রাষ্ট্রপতির সফরকালেও ভোজ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন

উপমুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২১ অক্টোবর ২০২১-তে রাষ্ট্রপতির আগমনের সময়ও ভোজ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সে সময় ১৫০০ জনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যার জন্য মোট ৮,২৬,৮৭৫ টাকা (জিএসটি সহ) ব্যয় হয়েছিল। এই ব্যয়ের তথ্যও বিধানসভা সচিবালয় ২৩ নভেম্বর ২০২১-তে মহালেখাপালকে জানিয়েছিল।

তেজস্বী যাদবের উপর উপমুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ

বিজয় সিংহ বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের উপর সরাসরি আক্রমণ চালিয়েছেন। তিনি তেজস্বীকে "অবাধ্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজকুমার" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে, তার কাছে নেই কোনো তথ্য বা যুক্তি। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, তেজস্বী এখন পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেননি এবং রাজনীতিতেও ব্যর্থ হবেন।

তিনি বলেছেন,
"তেজস্বী যাদব তার শিক্ষা সম্পন্ন করেননি, ক্রিকেটেও সফল হননি। এখন রাজনীতিতেও তার একই অবস্থা হবে। সোনার চামচে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরা যতই ভয় দেখাক না কেন, জনতা তাদের কখনোই নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে না।"

ভোজ্য বিতর্কের প্রসঙ্গে সরকারের স্পষ্ট স্থান

উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী এবং ভোজ্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। তিনি রাজদ-কে জনতাকে বিভ্রান্ত করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার এবং তাদের রাজনীতিতে সততা আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

Leave a comment