কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লোকসভায় মনরেগা তহবিল বণ্টন নিয়ে বলেছেন যে তামিলনাড়ু উত্তরপ্রদেশের চেয়ে বেশি তহবিল পেয়েছে, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। বিরোধী সাংসদরা প্রতিবাদ করেছেন।
দিল্লি: মঙ্গলবার লোকসভায় আবারও হইচই পড়ে যায়, যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি মনরেগার আওতায় বিভিন্ন রাজ্যে বরাদ্দ তহবিলের তথ্য দেন। মন্ত্রী বলেন, একটি অর্থবর্ষে তামিলনাড়ু উত্তরপ্রদেশের চেয়েও বেশি অর্থ পেয়েছে।
তামিলনাড়ু বেশি তহবিল পাওয়ার বিষয়ে বিতর্ক
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ডিএমকে সাংসদরা প্রতিবাদ জানান। পেম্মাসানি জানান, উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটির বেশি, তবে তামিলনাড়ুর জনসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কখনোই কোনও রাজ্যের সাথে পক্ষপাত করে নাই। মন্ত্রীর দাবি, মনরেগা যোজনার আওতায় যে অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা চাহিদাভিত্তিক এবং তাতে কোনও রাজ্যের সাথে পক্ষপাত করা হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গে তহবিলের দুর্নীতির অভিযোগ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে মনরেগার আওতায় তহবিলের অভিযোগিত দুর্নীতির বিষয়টিও তুলে ধরেন। পেম্মাসানি বলেন, রাজ্যে অনেক অনিয়মিতা পাওয়া গেছে এবং অডিট টিম ৪৪টি এমন কাজ চিহ্নিত করেছে যেখানে আর্থিক অনিয়ম ছিল। তিনি জানান, এই দুর্নীতির ফলে ৫.৩৭ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে, যার মধ্যে ২.৩৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিলম্বে ব্যাযের ব্যবস্থা
মন্ত্রী বলেন, যদি ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে অর্থ প্রদানে বিলম্ব হয়, তবে শ্রমিকদেরকে সুদসহ অর্থ প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, এই প্রবিধান ইউপিএ সরকারের আমলে মনরেগায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং এটির पालন করা হচ্ছে।
তামিলনাড়ু ১০,০০০ কোটি টাকার বেশি তহবিল পেয়েছে
মন্ত্রী চন্দ্রশেখর জানান, তামিলনাড়ু ইতিমধ্যেই এই অর্থবর্ষে ৭,৩০০ কোটি টাকা পেয়েছে এবং এর আগেও ১০,০০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ পেয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, পক্ষপাতের কোনও প্রশ্ন নেই।
রাজ্যগুলির সাথে পক্ষপাত হয়নি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও এই বিষয়ে তাঁর মতামত দেন। তিনি বলেন, মোদী সরকার কখনোই কোনও রাজ্যের সাথে পক্ষপাত করে নাই। তিনি আরও বলেন, মনরেগার আওতায় বকেয়া অর্থ শীঘ্রই মুক্তি দেওয়া হবে এবং রাজ্যগুলির মধ্যে পক্ষপাতের কোনও প্রশ্ন নেই।
প্রতিবাদ এবং সদন স্থগিত
এই বক্তব্যের পর, ডিএমকে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির সদস্যরাও প্রতিবাদে যোগ দেন এবং অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন। প্রতিবাদের কারণে লোকসভার কার্যক্রম দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।