বলিউডের অভিনেতা এবং 'ন্যাশনাল হিরো' সোনু সুদ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বড়ো खुलासा করেছেন যে, তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। যদিও, সোনু সুদ এই প্রস্তাবগুলি বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তাঁর ক্ষমতা অথবা অর্থের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, "রাজনীতিতে গেলে আমার স্বাধীনতা হারানোর ভয় আছে। আমি যখনই কারও সাহায্য করতে চাই, তখন আমি নিজের মতো করে এবং কোনো জবাবদিহি ছাড়াই করতে চাই।"
মুখ্যমন্ত্রী বা ডেপুটি সিএম হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
সোনু সুদ সাক্ষাৎকারের সময় আরও প্রকাশ করেন যে, লকডাউনের সময় দেশজুড়ে তাঁর সাহায্যের কারণে 'মসিহা' হিসাবে পরিচিত হওয়ার পরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী বা উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। এছাড়াও, তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। সোনু সুদ বলেন, "এটি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল, যখন কিছু প্রভাবশালী লোক আপনার সঙ্গে দেখা করে এবং আপনাকে পরিবর্তন আনার জন্য উৎসাহিত করে, কিন্তু আমি সেটাই করেছি যা আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে।"
সোনু সুদ বলেন, "রাজনীতিতে মানুষ হয় টাকা রোজগার করতে আসে, না হয় ক্ষমতা লাভ করতে আসে। আমার এর কোনোটাতেই আগ্রহ নেই। যদি কারও সাহায্য করতে হয়, তবে আমি তা আগে থেকেই করছি, এবং এর জন্য আমার কারও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।"
সিনেমার প্রতি গভীর অনুরাগ, অভিনয় ও পরিচালনা চালিয়ে যেতে চান
সোনু সুদ এই মুহূর্তে তাঁর আসন্ন ছবি ফতেহ-এর মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি সিনেমার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগের কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমার মধ্যে এখনও অভিনেতা এবং পরিচালক উভয়ের সত্তা রয়েছে। আমি সিনেমাকে খুব ভালোবাসি। যখন আমার মনে হবে যে আমি এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট কিছু করেছি, তখন আমি পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে চিন্তা করব, কিন্তু আপাতত আমি অভিনয় এবং পরিচালনা দুটোই চালিয়ে যাব।" সোনু সুদের এই বক্তব্য তাঁর জনসেবামূলক ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্র থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্তকে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরে।