ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের ১৩৪তম জন্মজয়ন্তী

🎧 Listen in Audio
0:00

১৪ এপ্রিল ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের ১৩৪তম জন্মজয়ন্তী পালিত হচ্ছে। ১৮৯১ সালে মধ্যপ্রদেশের মহুতে তাঁর জন্ম হয়েছিল, এবং তিনি সমাজের বঞ্চিত শ্রেণীকে সবল করে তুলেছিলেন।

আম্বেদকর জয়ন্তী ২০২৫: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ সালে ভারতে ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের ১৩৪তম জন্মজয়ন্তী পালিত হচ্ছে। তাঁকে ভারতীয় সংবিধানের জনক এবং সমাজ সংস্কারক হিসেবে মনে করা হয়। এই দিনটিকে "ভীম জয়ন্তী" নামেও জানা যায়, যা প্রতি বছর ভারতীয় সমাজকে তাঁর অবদান, সংগ্রাম এবং চিন্তাধারার স্মরণ করিয়ে দেয়।

বাবা সাহেবের জন্ম ও জীবন সংগ্রাম

ডঃ আম্বেদকরের জন্ম ১৪ এপ্রিল ১৮৯১ সালে মধ্যপ্রদেশের মহুতে একটি দলিত পরিবারে হয়েছিল। তাঁর জীবন ছিল কঠিনতায় পরিপূর্ণ, যার মধ্যে জাতিগত বৈষম্য এবং সামাজিক অসমতা ছিল প্রধান। কিন্তু বাবা সাহেব তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং শিক্ষার মাধ্যমে এই সকল চ্যালেঞ্জকে পরাস্ত করেছিলেন। তিনি কেবল উচ্চশিক্ষা লাভই করেননি, বরং বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকেও ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

ভারতীয় সংবিধান এবং নারীদের অধিকার

ডঃ আম্বেদকর ভারতীয় সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন, যা সমতা, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। এছাড়াও, তিনি ভারতীয় সমাজে নারীদের অধিকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল যে নারীদের সমান অধিকার এবং সম্মান পাওয়া উচিত, চাই সেটা সম্পত্তির অধিকার হোক বা সমাজে সমান স্থান।

হিন্দু কোড বিল এবং পদত্যাগ

নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ডঃ আম্বেদকর হিন্দু কোড বিল উত্থাপন করেছিলেন, যার মধ্যে নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার, তালাক, বিবাহ এবং দত্তক নেওয়া সম্পর্কিত অধিকার প্রদানের প্রস্তাব ছিল। তবে, এই বিল মন্ত্রিসভায় প্রতিবাদে পতিত হয় এবং পাস হয়নি। এরপর ডঃ আম্বেদকর আহত হন এবং ১৯৫১ সালে কানুন মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল যদি নারীদের সমান অধিকার দেওয়া যায় না, তাহলে এই পদে থাকার কোনো অর্থ নেই।

সমাজ সংস্কারক হিসেবে বাবা সাহেবের অবদান

বাবা সাহেবের অবদান কেবল সংবিধান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি সর্বদা সমাজে সমতা এবং ন্যায়বিচারের কথা বলেছেন এবং নারী, শ্রমিক এবং দুর্বল শ্রেণীর অধিকারের জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন। তাঁর এই আদর্শ আজও ভারতীয় সমাজে প্রাসঙ্গিক।

Leave a comment