আচার্য চাণক্যের মতে মানুষের সবচেয়ে বড় রোগ ও সুখ কী?

🎧 Listen in Audio
0:00

আচার্য চাণক্যের মতে, মানুষের সবচেয়ে বড় রোগ এবং সবচেয়ে বড় সুখ কোনটি, জানুন

কৌটিল্য ও বিষ্ণুগুপ্ত নামে খ্যাত আচার্য চাণক্যের বুদ্ধিমত্তার কৌশল তাঁর শত্রুরাও মানতেন। আচার্য কেবল বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানী ছিলেন না, তিনি একজন যোগ্য গুরু, পথপ্রদর্শক এবং কৌশলবিদও ছিলেন। আচার্যের ব্যক্তিত্ব ছিল অসাধারণ এবং তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ও জনহিতকে মাথায় রেখে যা কিছু বলেছিলেন, তা আজও সঠিক প্রমাণিত হয়।

আসুন, এই নিবন্ধে জেনে নিই আচার্য চাণক্য চাণক্য নীতিতে কাকে সবচেয়ে বড় সুখ, তপস্যা, রোগ ও ধর্ম বলে মনে করতেন।

সবচেয়ে বড় সুখ: সন্তোষ

আচার্য চাণক্য সন্তোষকে সবচেয়ে বড় সুখ মনে করতেন। তাঁর মতে, যে ব্যক্তির সন্তুষ্টি আছে, সে পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী। মানুষের কামনা-বাসনাই তার সবচেয়ে বড় শত্রু। সন্তুষ্ট ব্যক্তি অন্যের সুখ দেখে ঈর্ষা করে না এবং খুশি থাকে।

সবচেয়ে বড় তপস্যা: শান্তি

আচার্য চাণক্য শান্তিকে সবচেয়ে বড় তপস্যা মনে করতেন। তাঁর মতে, কিছু মানুষের কাছে পৃথিবীর সমস্ত সুখ-সুবিধা থাকে, কিন্তু তবুও তাদের শান্তি থাকে না। শান্তি তখনই আসে, যখন মানুষ তার মনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। যে শান্তি পেয়েছে, তার জীবন সফল।

সবচেয়ে বড় শত্রু: লোভ

মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু তার লোভ। লোভী মানুষ যতই পাক না কেন, তার কখনও সন্তুষ্টি আসে না। সে অন্যের জিনিসের উপরও খারাপ নজর রাখে এবং সেগুলি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এমন ব্যক্তির কাছে না থাকে সন্তুষ্টি, না থাকে শান্তি। যে লোভের উপর জয়লাভ করেছে, সে অর্ধেক যুদ্ধ জিতে নিয়েছে।

সবচেয়ে বড় ধর্ম: দয়া

অন্যের প্রতি দয়া রাখা সবচেয়ে বড় ধর্ম। আচার্য চাণক্য মনে করতেন, যদি মানুষের মধ্যে দয়া না থাকে, তবে সে পশুর সমান। ঈশ্বর মানুষকে এই যোগ্য করে তৈরি করেছেন যে সে অন্যের সাহায্য করতে পারে। তাই দয়াকে সবচেয়ে বড় ধর্ম হিসেবে মনে করা হয়।

 

Leave a comment