স্টেনোগ্রাফার: যোগ্যতা, প্রয়োজনীয়তা এবং কর্মজীবনের বিস্তারিত তথ্য

🎧 Listen in Audio
0:00

স্টেনোগ্রাফার (Stenographer) সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য subkuz.com-এ

আজকাল, সরকারি ক্ষেত্রে স্টেনোগ্রাফারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যার জন্য কর্মচারী নির্বাচন কমিশন (SSC) প্রতি বছর পরীক্ষা নেয়। স্টেনোগ্রাফার পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়া এবং একজন দক্ষ স্টেনোগ্রাফার হওয়ার জন্য, SSC দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষার কাঠামো এবং পাঠ্যক্রম বোঝা প্রয়োজন।

আশুলিপি, যাকে শর্টহ্যান্ডও বলা হয়, এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দ্রুত গতিতে বলা কথাগুলিকে সংক্ষেপে লিখে রাখা হয়। এই দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে আশুলিপিক বলা হয় এবং প্রায় সমস্ত সরকারি বিভাগেই তাদের প্রয়োজন হয়। সরকারি বিভাগগুলিতে স্টেনোগ্রাফার পদে কর্মচারী নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করে। আপনি যদি স্টেনোগ্রাফার হতে চান, তবে যোগ্যতা এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।

 

স্টেনোগ্রাফার কী?

সাধারণত, একজন স্টেনোগ্রাফার টাইপিং মাস্টারের মতো কাজ করেন, যিনি দ্রুত গতিতে কথা বলা শব্দগুলোকে সংক্ষেপে লিখে রাখেন। আশুলিপিকদের শর্টহ্যান্ড টাইপিস্টও বলা হয়। তাদের চাকরির সুযোগ সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই রয়েছে, যা স্টেনোগ্রাফিতে ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভালো বিকল্প।

একজন আশুলিপিক বক্তৃতা শোনেন এবং তারপর টাইপিং মেশিন বা অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে দ্রুত সেটি লিখে ফেলেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন আদালত, থানা, সংবাদপত্র এবং অন্যান্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, যেখানে দ্রুত প্রতিলিপি তৈরি করার প্রয়োজন হয়।

 

স্টেনোগ্রাফার হওয়ার যোগ্যতা

নাম থেকেই বোঝা যায়, স্টেনোগ্রাফার হওয়ার জন্য স্টেনোগ্রাফিতে দক্ষতা প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে শর্টহ্যান্ডে পারদর্শী হওয়া, দ্রুত লেখার জন্য বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করা এবং ইংরেজি, বাংলা বা অন্য কোনো ভাষায় টাইপ করতে পারা। একজন সফল আশুলিপিককে সেই ভাষার ব্যাকরণ এবং বিরাম চিহ্ন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে, যে ভাষায় তিনি লিখবেন।

স্টেনোগ্রাফার হিসেবে চাকরি পেতে হলে, শিক্ষার্থীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে অথবা শর্টহ্যান্ডে সার্টিফিকেটসহ ইন্টারমিডিয়েট পাস হতে হবে। এছাড়াও, তাদের কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্টেনোগ্রাফিতে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।

আশুলিপিকদের সাধারণত গ্রেড সি এবং গ্রেড ডি তে ভাগ করা হয়, যার জন্য যথাক্রমে স্নাতক বা দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার সমমানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন।

 

বয়স সীমা

গ্রেড সি-এর প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে, যেখানে গ্রেড ডি-এর জন্য বয়সসীমা ১৮ থেকে ২৭ বছর। সংরক্ষিত শ্রেণির জন্য বয়সের কিছু ছাড় রয়েছে, যেখানে ওবিসি-দের জন্য ৩ বছর এবং এসসি/এসটি প্রার্থীদের জন্য ৫ বছরের ছাড় দেওয়া হয়েছে।

স্টেনোগ্রাফার হওয়ার জন্য পাঠ্যক্রম

বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট এবং আইটিআই সিএসএস/আইটিআই-এর মতো স্টেনোগ্রাফি কোর্স প্রদান করে। এই কোর্সগুলো সাধারণত এক বছরের হয় এবং এটি শেষ করার পর আশুলিপিতে ডিপ্লোমা প্রদান করা হয়।

 

নির্বাচন প্রক্রিয়া

সরকারি ক্ষেত্রে, স্টেনোগ্রাফার নিয়োগের জন্য কম্পিউটার ভিত্তিক বা লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়, যার পরে টাইপিং স্পিড টেস্ট হয়। সফল প্রার্থীদের তারপর শ্রুতলিপি পরীক্ষা দিতে হয়, যার পরে তাদের পদে নিয়োগ করা হয়।

 

স্টেনোগ্রাফির প্রস্তুতি

স্টেনোগ্রাফি কার্যকরভাবে শিখতে হলে, প্রথমে এক বছরের স্টেনোগ্রাফার কোর্সের মাধ্যমে শর্টহ্যান্ড টাইপিংয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। টাইপিংয়ের গতি বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ, প্রতি মিনিটে ৮০টি শব্দ হিন্দি এবং ইংরেজি উভয় টাইপিংয়ের জন্য ভালো গতি হিসেবে বিবেচিত হয়। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিগত বছরের প্রশ্নপত্র থেকে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

 

আশুলিপিকের বেতন

স্টেনোগ্রাফারের বেতন তাদের গ্রেডের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হয়, সাধারণত ৫২০০ থেকে ২০,২০০ টাকা পর্যন্ত, সঙ্গে গ্রেড বেতন ২৬০০ টাকা।

নোট: উপরের তথ্য বিভিন্ন উৎস এবং কিছু ব্যক্তিগত পরামর্শের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি এটি আপনার কর্মজীবনের সঠিক দিশা খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এই ধরনের আরও নতুন তথ্যের জন্য দেশ-বিদেশ, শিক্ষা, চাকরি, কর্মজীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের লেখা subkuz.com-এ পড়তে থাকুন।

```

Leave a comment