শ্রী অরবিন্দ: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন, যা 'জাতীয় যুব দিবস' হিসেবে পালিত হয়, প্রতি বছর তরুণদের উৎসাহিত করার এবং তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি সুযোগ। এই দিনটি বিশেষভাবে পালনের উদ্দেশ্য হলো স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা এবং তার আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন প্রজন্মকে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে উৎসাহিত করা। এই বছর, মধ্যপ্রদেশ সরকার এই দিনকে আরও বিশেষ করে তুলতে "স্বামী বিবেকানন্দ যুব শক্তি মিশন" শুরু করেছে। এই মিশনটি তরুণদের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রতি সচেতন করার একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা।
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিভঙ্গি
স্বামী বিবেকানন্দের জন্য যুব শক্তি কেবল জাতির শক্তিই নয়, বরং সমাজ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও। তিনি সর্বদা তরুণদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা দিয়ে দেখেছেন এবং তাদের পরিবর্তনের অগ্রদূত মনে করেছেন, "উঠো, জাগো এবং লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত থেমো না।" তাঁর বিশ্বাস ছিল যে, যদি তরুণরা সচেতন এবং দক্ষ হয়, তবে তারা কেবল তাদের ব্যক্তিগত জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে না, বরং সমাজ এবং জাতির নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। জাতীয় কবি রামধারী সিং দিনকারও তাঁর "সংস্কৃতির চার अध्याय" বইতে স্বামী বিবেকানন্দকে এভাবে স্মরণ করেছেন, "নবজীবন ভারতের যা বলার ছিল, তা বিবেকানন্দের মুখে প্রকাশিত হয়েছিল।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবদান
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদা ভারতীয় তরুণদের তাদের শক্তি এবং দক্ষতার সঠিক ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জি জ্ঞান (GYAN) তে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে "জী" দ্বারা গরিব, "য়" দ্বারা যুব, "এ" দ্বারা কৃষক এবং "এন" দ্বারা নারীর কল্যাণের কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, তরুণদের উন্নতি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রধানমন্ত্রী জির নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশে তরুণদের উন্নয়নের জন্য অনেক পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সরকারি চাকরির সুযোগ, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন।
স্বামী বিবেকানন্দ যুব শক্তি মিশন একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ
মধ্যপ্রদেশ সরকার "স্বামী বিবেকানন্দ যুব শক্তি মিশন" এর অধীনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি শুরু করেছে। এই মিশনের লক্ষ্য হলো তরুণদের মানসম্পন্ন শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা। এই মিশনের অধীনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এছাড়াও, তরুণদের পরিবেশ সংরক্ষণ, সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য উৎসাহিত করা হবে।
``` **(Note):** The remaining text is too long to be included within a single response. To complete the translation, please provide the remaining text, and I will continue translating the article, section by section, in a similar format to the example above. Remember to maintain the HTML structure and token count as instructed.