ভ্রমণকারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ইন্ডিয়া একটি নতুন ফিচার চালু করেছে, যার মাধ্যমে এখন ফ্লাইটে হারিয়ে যাওয়া সামগ্রী সহজেই ট্র্যাক করা যাবে। এয়ার ইন্ডিয়া এপল এয়ারট্যাগকে তাদের ব্যগেজ ট্র্যাকিং সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যার ফলে আইফোন, আইপ্যাড বা ম্যাক ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যাগের অবস্থান সহজেই খুঁজে পেতে পারবেন।
এই সুবিধার মাধ্যমে এয়ার ইন্ডিয়া এশিয়ার প্রথম এয়ারলাইন্স হিসেবে এই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যাত্রী এয়ার ইন্ডিয়ায় ভ্রমণ করেন এবং কোম্পানির দাবি, ৯৯.৬% ব্যগেজ সময়মতো তাদের মালিকের কাছে পৌঁছে যায়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাগ হারিয়ে যায়, যা এখন এপল এয়ারট্যাগের সাহায্যে সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে।
এয়ারট্যাগ দিয়ে ব্যগেজ ট্র্যাকিং কিভাবে হবে?
এপল এয়ারট্যাগের মাধ্যমে যাত্রীরা তাদের ব্যাগের অবস্থান জানতে এয়ার ইন্ডিয়ার "ট্র্যাক মাই ব্যাগস" ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। যদি কোন যাত্রীর ব্যাগ ফ্লাইটের সময় হারিয়ে যায়, তাহলে তাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
১. এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যগেজ কাউন্টারে রিপোর্ট করুন – প্রথমে যাত্রীকে এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যগেজ কাউন্টারে গিয়ে তাঁর হারিয়ে যাওয়া ব্যাগের রিপোর্ট দিতে হবে। সেখানে থাকা কর্মীরা ফরম পূরণে সাহায্য করবেন।
২. ফাইন্ড মাই অ্যাপ থেকে লোকেশন শেয়ার করুন – যাত্রীকে তাঁর আইফোনে "ফাইন্ড মাই" অ্যাপ খুলে তাঁর এয়ারট্যাগের লোকেশন শেয়ার করতে হবে।
৩. এয়ার ইন্ডিয়াকে লোকেশন লিঙ্ক পাঠান –
• এয়ার ইন্ডিয়ার মোবাইল অ্যাপে গিয়ে কাস্টমার সাপোর্ট পোর্টালে "ব্যগেজ" অপশন সিলেক্ট করুন।
• "লস্ট & অ্যান্ড ফাউন্ড চেক-ইন ব্যগেজ" এ গিয়ে আপনার এয়ারট্যাগ লোকেশনের লিঙ্ক যুক্ত করুন।
• এইভাবেই, এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে লগ ইন করেও এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে।
এয়ারট্যাগ দিয়ে ব্যগেজ ট্র্যাকিংয়ের সুবিধা কারা পাবে?
এই নতুন সুবিধাটি সেই যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী যাদের কাছে এপল ডিভাইস আছে, যেমন আইফোন, আইপ্যাড, বা ম্যাকবুক। শুধুমাত্র যারা এপল এয়ারট্যাগ ব্যবহার করেন, তারাই তাদের ব্যাগের লাইভ লোকেশন ট্র্যাক করতে পারবেন। যদি কারও ব্যাগ হারিয়ে যায়, তাহলে এয়ার ইন্ডিয়ার টিমকে তার সঠিক লোকেশন পাঠিয়ে তা দ্রুততম সময়ে ফিরে পেতে পারেন।
এয়ারট্যাগ সিস্টেম থেকে কিভাবে সুবিধা পাওয়া যাবে?
• সামগ্রী হারানোর ভয় কমে যাবে – এখন যাত্রীদের তাদের ব্যাগ নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।
• দ্রুত ব্যাগের অবস্থান পাওয়া যাবে – এয়ারট্যাগের সাহায্যে ব্যাগের সন্ধান করা সহজ হবে এবং এয়ার ইন্ডিয়ার টিম তা দ্রুত ট্রেস করতে পারবে।
• অনলাইন ট্র্যাকিং সুবিধা – যাত্রীরা এয়ার ইন্ডিয়ার অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে তাদের ব্যাগের অবস্থা চেক করতে পারবেন।
• বড় এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলির সমান প্রযুক্তি – এয়ারট্যাগ সিস্টেম গ্রহণ করে এয়ার ইন্ডিয়া নিজেকে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের এয়ারলাইন্সের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন উদ্যোগ, যাত্রীদের জন্য বড় স্বস্তি
এয়ার ইন্ডিয়ার এই পদক্ষেপটি সেই যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক যারা প্রায়ই ফ্লাইটে তাদের ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হন। এই উদ্ভাবন এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে। এখন এপল এয়ারট্যাগের সাহায্যে প্রতিটি যাত্রী নিজেই তাদের ব্যাগের অবস্থা ট্র্যাক করতে পারবেন এবং কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাদের সামগ্রী ফিরে পেতে পারবেন।
